• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

টিঘরের জামাল দিঘী খননের নামে অনিয়মের অভিযোগ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৪৪ এএম;
টিঘরের জামাল দিঘী খননের নামে অনিয়মের অভিযোগ
টিঘরের জামাল দিঘী খননের নামে অনিয়মের অভিযোগ

এসএম জজ মিয়া ক্রাইম রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরাইল থানা এলাকার সাং-টিঘর জামাল দিঘী উন্নয়নের জন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা গ্রাম হবে শহর তারই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া "এল জি আর ডি" বরাদ্ধকৃত অর্থায়নে পুকুর খাল খনন প্রকল্পের আওতায় দিঘীর চারপাড় ভেঙ্গে যাওয়া খানা খন্দ ভরাট নামক মেরামত করার কথা। কন্ট্রাক অনুযায়ী পুকুরের চারপাড় সুন্দর করেই ভরাট করেছেন। কিন্তু এখানে উল্লেখ্য বিষয় হলো জামাল দিঘী এলাকায় এই প্রতিবেদক সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ  করাকালীন সময়ে দেখতে পায় জামাল দিঘীর বুক ছিঁড়ে ডিজেল চালিত ড্রেজার মিশিনের মাধ্যমে পনের ষোল ফুট গভীর করে ভিটে বালী বিক্রয় করা হচ্ছে দে-দারছে। জামাল দিঘীর উত্তোলন করা বালী দিয়া ডোবা ভরাট করে নতুন বাড়ি করা হচ্ছে এমন  অসংখ্য নতুন বাড়ির সন্ধান মিলছে। যেমন পুকুরের পশ্চিম পাড় থেকে দুই হাজার ফুট পশ্চিমে শাহদাৎ মিয়া পিতা দানিছ মিয়া তাজুল ইসলাম গং রা প্রায় দুই লক্ষ ঘনফুট বালি ক্রয় করে জমি ডোবা ভরাট করে নতুন বাড়ি করেছেন। এমনকি পুকুরের পাড় থেকে দুই হাজার ফুট উত্তরে রহিছ আলীর একটি ডোবা বতর্মানে ভরাট করা হচ্ছে। রহিছ আলীর বাড়ি করতে প্রায় সাতানব্বই হাজার গনফুট বালি লাগে বলে মেজারমেন্ট করছে প্রতি ফুট বালী কিনছে সাত টাকা এই হিসাবে রহিছ বালীর মূল্য দিতে হবে পাঁচ লক্ষ এগারো হাজার টাকা।.

এদিকে রহিছ আলীর পূর্ব পাশে একটি জমি ভরাট করে নতুন বাড়ি করা হয়েছে সাহবাজ আলীর নিকট থেকেও ড্রেজারের সিন্ডিকেট  বাহিনী হাতিয়ে নেয় প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় বিগত দুই বৎসরের এমন আরো অনেকেই সরকারি খাসের ভূমি থেকে অবৈধভাবে বালু কিনে বড় বড় বাড়ি করেছে।এই অবৈধভাবে বালী উত্তোলন বিক্রি বন্ধ করতে স্থানীয় সচেতন মহলের সাবেক মেম্বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অভিভাবক মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে লিখিত ভাবে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক  সময়ে বালু উৎলন বন্ধ করা হয়। খবর  নিয়ে জানা যায় সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার একাধিক বার ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। কন্ট্রাকটর বাবুল সাহেবের তথ্য মতে জামাল দিঘীর পাড়ে ছয়টি পাক্বা ঘাটলা হওয়ার কথা তিনটি করা হয়েছে আরো তিনটি করবেন। বাবুল সাহেব মুঠোফোনে বলেন আমি কাজ শুরু করার পর এলাকার কিছু লোক আমার নিকট পাঁচ লক্ষ টাকা চাদা দাবী

করে! চাদা দাবী কারা করে জানতে চাইলে কন্ট্রাকটর কারো নাম বলতে পারেনা তিনি বলেন তাদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছি তিনি আরো বলেন আমার শ্রমিক কর্মচারিদের মারধর করে। আমি এবিষয়ে থানা পুলিশ সহ আমার উপরস্থ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাখছি। তিনি বলেন টিঘর গ্রামের মসজিদের ইমাম সাহেব পর্যন্ত চোর টিঘর কোনো ভাল মানুষ নাই। আমি ও বলতে বাধ্য হলাম টিঘর গ্রামে যদি ভাল মানুষ থাকতো এত বড় অনিয়ম হয়তো কেউ করার সাহস পায়তনা।তথ‍্য মতে এলাকার সকল শ্রেণী  পেশার মানুষের সাথে আলাপ কালে জানা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, এবং সরাইলের প্রভাবশালী মহলের বৃদ্ধাঙ্গুলের ইশারায় কন্ট্রাকটর বাবুল সাহেবের সাথে সম্পর্ক ভাল থাকার সুবাদে এলাকার কিছু ক্রিমিনাল সঙ্গে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট করে লাইয়েছ মেম্বার। জামাল দিঘীর বালু বিক্রয় তিনি আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ হয়েগেছে। বিগত দুই বৎসরে প্রায় কোটি টাকার  বাড়িও জমি ক্রয় করে রাতারাতি ধনী হয়ে যায়। লাইয়েছ মেম্বার খুবই চালাক মানুষ নিজের বাড়িতে কোনো জৌলুস নেই দেখতে খুবই সাধারণ মানুষ। কিন্তু এলাকার সচেতন মানুষের কাছে তিনি একজন ক্রিমিনাল দাঙ্গাবাজ মামলা বাজ ঘোষখোর মাদক ব‍্যবসায়ীদের গড ফাদার এবং জোয়াড়ীদে আশ্রয় দাতা চোরদের মদদ দাতা। তার বৃদ্ধাঙ্গুলের ইশারায় চলে একনাম্বার ওয়ার্ডের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। সাবেক সফল মেম্বার  এই সমস্ত অনিয়মের বিষয়ে বাধা দেওয়াই প্রতিবাদ করার কারনে। লাইয়েছ মেম্বার অনবরত হুমকি দিচ্ছে বলে জানাযায়। এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন আমরা অসহায় আমাদের কথার কোনো মূল্য নাই কন্ট্রাকটর ও লাইয়েছ মেম্বারের নিকট। তারা বলেন এভাবেই যদি ড্রেজিং করা হয় আমাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে জামাল দিঘীর বুক ভরাট হবে। এলাকা বাসীর মাথা গুজার ঠাইটুকু যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এই প্রতিবেদকের নিকট আকুতি মিনতী করেন।.

এদিকে খুঁজ নিয়ে জানা যায় বরাদ্ধ কৃত বাজেট  কর্তৃপক্ষ  ম‍্যানেজ করেই অবৈধভাবে ভিটে বালু উত্তেলন ব‍্যবসা জমজমাট করে চালিয়ে যাচ্ছেন।স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহেব বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে,এ-বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আমাদের এডিসি সাহেবের সাথে আলোচনা করব।লাইয়েছ মেম্বারের বিষয়ে বলেন তিনি আমার পরিষদের সদস্য অথচ এখন পর্যন্ত এবিষয়ে আমাকে অবহিত করেননি। এলাকার সচল শিক্ষিত সচেতন ব‍্যক্তিরা বলেন শেখ হাসিনার সরকারের ভাবমূর্তি  উজ্জল রাখতে জনস্বার্থে জামাল দিঘীর অনিয়ম কর্মকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদেরকে দমন করা উচিত।টিঘর গ্রামের ঢাকাস্থ ব‍্যবসায়ী মহলের নেতা বলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরে তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে জনস্বার্থের কাজে গাফলতি করা অপরাধিদের আইনের আওতায় বিচারের কাঠগড়ায় হাজির করার জোর দাবি এলাকা বাসীর।চলবে. .

ডে-নাইট-নিউজ /

অপরাধ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ