ফুলবাড়ীতে উঠেছে মৌসুমি ফল তরমুজ পিস হিসেবে কিনে কেজিদরে বিক্রি, স্বাদ থাকলেও সাধ্য নেই-নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের !.
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় সদর বাজারসহ এর আশপাশের বাজারে ফলের দোকানগুলোতে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী ফল তরমুজ। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এই তরমুজ পিছ হিসেবে কিনলেও বিক্রি করছেন কেজি দরে। ফলে তরমুজের উচ্চমূল্যের কারণে স্বাদ থাকলেও কেনার সাধ্য নেই নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের। .
অন্যান্য ফলের তুলনায় তরমুজ সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বেশি থাকায় বাজারে এর চাহিদা বেশি। ফলের দোকান ছাড়াও প্রধান সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে অনেকে বিক্রি করছে এসব ফল। তরমুজ প্রশান্তিদায়ক, শীতলকারক ও তৃষ্ণা নিবারক একটি ফল। এসব ছাড়াও তরমুজ মানব শরীরে নানান প্রকার উপকারী ঔষধি হিসেবে কাজ করে থাকে। .
বর্তমানে ফুলবাড়ীতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। দেখা গেছে উপজেলার পৌরএলাকার প্রাণকেন্দ্র নিমতলা মোড়ে অঞ্চলিক সড়কের পার্শ্বে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন তরমুজ। সাড়ি সাড়ি সাজিয়ে রেখেছেন হরেক রকমের মৌসুম এই ফলকে। .
ফল ক্রেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের সাথে সাক্ষাত হলে তিনি জানান, রমজানের বাজারে নতুন মৌসুমি ফল তরমুজ কিনতে এসেছি। কিন্তু প্রচ- দামের কারণে ছোট একটি তরমুজ কিনেছি। ব্যবসায়ীরা এই তরমুজগুলো পিস হিসেবে কিনে এসে কেজি দরে বিক্রি করছে। এতে ভোক্তাদের কাছে বেশি টাকা নেয়া হচ্ছে। .
আরেক ক্রেতা সুজন চন্দ্র রায় জানান, তরমুজ বাচ্চাদের খুব পছন্দের। তাই দাম বেশি হলেও, আড়াই কেজি পরিমাণ একটি তরমুজ কিনেছি।.
রিকশা চালক আফজাল হোসেন বলেন, বাজারে তরমুজ উঠসে শুধু দেখেই থাকতে হচ্ছে। কেনার সাধ্য নেই। যে দাম, আর কেজি দরে বিক্রি! তাতে আমাদের ভাগ্যে জোটে না এই মৌসুমি ফলগুলো। দেখি দাম কমুক। যখন কেনার লোক থাকবে না পঁচে পঁচে যাবে তখন কম দামে বিক্রি হবে। তখনি কেনব ১০ টাকা ১২ টাকা কেজি দরে। .
মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী মো. বাবু বলেন, এ বছর বাজারে তরমুজ নতুন নেমেছে। নতুন ফল বাজারে নামলে দাম অনেকটাই বেশি থাকে। দাম বেশি থাকার কারণে বিক্রি কম হচ্ছে। আমরা আমাদের বিক্রি করা এই তরমুজগুলো বরিশাল থেকে পাইকারি নিয়ে আসি। বাজারে এ ফলের আমদানি বাড়লে দামও কমবে বিক্রিও বাড়বে।.
ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখনও তরমুজের বেচাকেনা তেমন জমে উঠেনি। রমজানে তরমুজের বিক্রি একটু বেশি হচ্ছে। পিস হিসেবে কিনে কেজি দরে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফুলবাড়ীতে আগে থেকেই তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি হয়ে আসছে। তাই সেই সূত্র ধরেই কেজি হিসেবেই বিক্রি করছি। .
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: