আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুর: জরাজীর্ণ ঘরে স্ত্রী-সন্তান ও বৃদ্ধ বাবা-মা নিয়ে বসবাস করেন মামুন হোসেন। একসময় ভ্যান গাড়ি চালিয়ে সংসার চালালেও সড়ক দূর্ঘটনার পর থেকে হয়ে পড়েন কর্মহীন। অভাবের সংসারে ঘর সংস্কারের কোন উপহার ছিলো না। তাদের এমন করুন পরিনতি দেখে পরিবারটির পাশে দাঁড়ালেন লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন আরিফ।.
.
তৈরি করে দেন নতুন একটি ঘর। এতে খুশি মামুন ও তার পরিবার। মামুন সদর উপজেলা দক্ষিন হামছাদি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব গোপিনাথপুর জবেদ উল্লাহ ব্যাপারী বাড়ী (মাঝের বাড়ী) সুলতান আহমেদের ছেলে। শনিবার (১৬মার্চ) ঘরটির নির্মান কাজ শেষ হয়। এসময় ফিতা কেটে নতুন ঘরের উদ্বোধন করেন শাখাওয়াত হোসেন আরিফ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ। পরে ফুল দিয়ে মামুন ও তার পরিবারকে নতুন ঘরে স্বাগত জানানো হয়।.
.
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নুর আলম মোহন, সমাজকর্মী সোহেল খান, স্বাধীনতা স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান করিম রঞ্জু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, যুবলীগের সদস্য রাসেল চৌধুরী, সমাজকর্মী মনতাজ ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী মতিন পাটওয়ারি প্রমূখ।.
.
.
স্থানীয়রা জানান, মামুনের পরিবারটি খুবই অসহায়। দীর্ঘদিন থেকে জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করে আসছে। নতুন ঘরটি পেয়ে তাদের বেশ উপকার হলো। তারা আরো বলেন, শাখাওয়াত হোসেন আরিফ দীর্ঘদিন থেকেই সামাজিক ও মানবিক বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। তার এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।.
.
মামুন হোসেন বলেন, এতোদিন ভাঙ্গাচোরা ধরে বসবাস করেছি। এখন নতুন ঘর পেয়েছি। আরিফ ভাইকে ধন্যবাদ আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।.
.
.
শাখাওয়াত হোসেন আরিফ বলেন, সামাজিক ও মানবিক কাজ করতে আমার ভালো লাগে। এসব কাজ করে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়৷ এ পর্যন্ত আমি বিভিন্ন অসহায় পরিবারের মাঝে ১৮টি ঘর তৈরি করে দিয়েছি। এতে দেশ বিদেশের আমার বন্ধু-শুভাকাংখি অনেকেই সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া করোনাকালিন সময়ে ত্রাণ সামগ্রী সহ অসহায় পরিবারের পাশে ছিলাম। আশা করি ভবিষ্যতেও এমন কর্মকান্ড চালিয়ে যাবো।.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: