নেই কোনো বসতি। চারদিকে শুধুই রবি শস্যের ক্ষেত। শরিষা, গম, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, ধনে, বেঁগুনসহ নানা প্রকার ফসল আবাদ হয়েছে এইসব ক্ষেতে। অনেক কৃষকেই এখন মাঠের এই ফসল ঘরে তুলে বোরো ধান আবাদের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। .
তবে এরই মধ্যে এই তিন ফসলি জমিতে চোখ পড়েছে ভূমি দস্যুদের। শত শত একর ফসলি জমির মধ্যে ভেকু মেশিন দিয়ে রাতের অন্ধকারে তুলে নেওয়া হচ্ছে মাটি। পরে সেই মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইট ভাটাগুলোতে। বাঁধা দিতে গেলেই সাধারণ কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে হুমকি। ফসলি জমি রক্ষার্থে এলাকার সাধারণ কৃষক বাধ্য হয়ে উপজেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।গোকুল বিশ্বাস নামের অপর এক ব্যক্তি বলেন, যেখানে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে তার পাশে আমার তিন ফসলি জমি। এখানে এত গর্ত করলে আমাদের জমি বৃষ্টি আসলে ভেঙে যাবে। বর্ষা মৌসুমে আমাদের জমিও পুকুর হয়ে যাবে। তখন আমরা কি করে চলবো। তিন ফসলি জমি নষ্ট করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে মাটি কেঁটে ফসলি জমি খনন করা হচ্ছে তা বুঝে আসেনা। মনে হচ্ছে প্রশাসনের চেয়ে মাটি দস্যুদের ক্ষমতা বেশি।.
ছোটভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন জানান, ফসলি জমিতে মাটি কেটে ইট ভাটাতে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। ভুক্তভোগীরা আমার কাছে আসলে আমি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখবো।.
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, যে কেউ ইচ্ছা করলে ফসলি জমি থেকে মাটি খনন করে ইট ভাটাতে বিক্রি করতে পারে না। আমাদের কাছে সুনিদিষ্ট অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ফসলি জমিতে মাটি খননকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।সরেজমিন ঘুরে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই রাজবাড়ী সদর উপজেলা এবং গোয়ালন্দ উপজেলার সীমান্তবর্তী চর বালিয়াকান্দি মৌজাতে মো. তোতা মিয়ার নিজস্ব জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খনন শুরু করেছেন। মাটি খননের করণে ওই জমির চারপাশে থাকার একরের পর একর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকের ফসল ভর্তি জমির ওপর দিয়ে মাটি ভর্তি ট্রাক আসা-যাওয়া করছে। ফলে সফল হারিয়ে নির্বিকার হয়ে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন।.
স্থানীয় কৃষক সজল কুমার বিশ্বাস জানান, ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খনন করে বিক্রি শুরু হয়েছে। এতে আমারসহ এলাকার অনেকে কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে তিন ফসলি এই জমি ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। .
তিনি আরোও জানান, বাঁধা দেওয়ায় আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। . .
ডে-নাইট-নিউজ / আল আমিন খোকন
আপনার মতামত লিখুন: