জনগুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনাথ নোয়াগাঁও ভায়া টেংরা বটেরতল রাস্তার বেহাল দশা। পিচ ঢালাই উঠে খানাখন্দভরা রাস্তায় যাতায়াত অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। বিকল হচ্ছে হরহামেশা যানবাহন গুলো। জরুরি রোগীদের ভোগান্তি আর অসহায়ত্ব দেখার কেউ নেই। মেরামত কিংবা দেখভাল করার ও কেউ নেই।.
.
.
বিশ্বনাথ সদর থেকে নোয়াগাও হয়ে টেংরা বটেরতল সড়কটিতে এক সময় একটি রিক্সা চলাচল ছিলো খুবই কষ্টকর। সে সময় টেংরার লোকজন বিশ্বনাথ সদরের সাথে যোগাযোগ করতেন বর্ষা মৌসূমে নৌকায়। শীত মৌসূমে হেঁটে হেঁটে কাজ সারতেন। সে সময় টেংরা এলাকার ছাত্র ছাত্রীরা মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ালেখা করতে থানা সদরের স্কুল কলেজ গুলোতে। বেশির ভাগ ছাত্র পড়ালেখা করতেন বিশ্বনাথ সরকারি মডেল অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং ছাত্রীদের বেশির ভাগ লেখাপড়া করতেন বিশ্বনাথ হাজি মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ছাত্ররা যেতেন বাই সাইকেলে এবং ছাত্রীরা যেতেন হেঁটে হেঁটে! টেংরা টু বিশ্বনাথ সড়কটি যখন কাঁচা ছিল, সে সময় ওই সড়কটিতে অত্র অধিবাসীদের চলাচলে দুর্ভোগ ছিলো কপালের লিখনতুল্য! আর এই দুর্ভোগ সয্য করেই তখনকার এ অঞ্চলের মানুষেরা জীবনকাল অতিবাহিত করেছেন। ২০০১ সালে ১লা অক্টোবরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট ২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এম. ইলিয়াস আলী। তিনি নির্বাচিত হয়ে সিলেট ২ আসন ( বিশ্বনাথ - বালাগঞ্জ) অধিবাসীদেরকে দেন কাংঙ্খীত উন্নয়ন। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে টেংরা বটেরতল টু নোয়াগাও হয়ে বিশ্বনাথ সদর সড়কটি পাকাকরণ করা হয়।.
.
এই সড়কটি পাকাকরণ হওয়ায় অত্র অঞ্চলের বাসিন্দারা সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পান। এমপি ইলিয়াস আলীর সময়কাল পরে দীর্ঘ দিন চলে গেলেও টেংরা বটেরতল থেকে নোয়াগাও পর্যন্ত সড়কটি অভিভাবকহীন অবস্হায় পড়ে আছে! সেই ২০০৫ সালের পর এখনো পর্যন্ত রাস্তাটিতে কোনো সংস্কার কাজ হয়নি! .
.
.
সড়কটিতে অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে ! পাথর খসে খসে উঠে যাচ্ছে! ওই সব গর্তের মধ্যে বৃষ্টি হলে পানি জমাট হয়ে পুকুর সদৃশ্য রূপ ধারণ করে। স্বরজমিনে দেখাগেছে সড়কের কি করুণ দশা! সড়কটিতে লোকজন হাঁটতে কিংবা গাড়ী চলাচলে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চলাচলে অত্র অঞ্চলের অধিবাসীরা কি যে অস্বস্তি বোধ করছেন তা স্ব চোখে না দেখলে বুঝা যায় না। .
.
সাবেক সংসদ সদস্য এম. ইলিয়াস আলীর পর ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, ২০১৪ সালে নির্বাচিত হন ইয়াহিয়া চৌধুরী, ২০১৮ সালে নির্বাচিত হন, মোকাব্বির খাঁন এবং ২০২৪ সালের ৭ জান্য়ুারি নির্বাচনে পুনরায় এমপি নির্বাচিত হন, শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন। ২০২২ সালে তখনকার স্হানীয় এমপি মোকাব্বির খানকে রাস্হাটির সংস্কারের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান, রাস্হাটি রিপিয়ারিং এর জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু মোকাব্বির খান এমপির প্রতিশ্রুতির কোনো মূল্য পাওয়া যায়নি। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মোকাব্বির খাঁনের পি এস এবং এপিসএসদের ঘুষ না দেওয়ার কারণে কাজটিকে আগ বাড়াতে দেননি তাঁরা। এমপি মোকাব্বির খানের পিএস ও এপিএসরা মোকাব্বির খানের আমলে এমপির আওতাধীন সকল উন্নয়ন কাজে তারা অর্থনৈতিক ফায়দা প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করেছেন! সাবেক এই সাংসদের বিরুদ্ধে এরকম একাধিক অভিযোগ সিলেট ২ আসনের অনেক অধিবাসীরা হরহামেশাই করেছেন। .
.
গেল বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে রাস্হাটির বেহাল অবস্হা পরিদর্শন করলে এলাকার একাধিক বাসিন্দা দাবী জানিয়ে বলেন, সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ, সংসদ সদস্য সির্বাচিত হয়েছেন আলহাজ্ব শফিকুর রহমান এবং তিনি প্রতিমন্ত্রীও
ডে-নাইট-নিউজ / বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: