মুসলমানদের ধর্মীয় প্রধান উৎসব পবিত্র ইদুল আযহাকে কেন্দ্র করে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে জমে উঠেছে প্রশাসনের অনুমোদিত ও অনুমোদনহীন হাট বাজার গুলো। অনুমোদিত হাটের পাশাপাশি উপজেলা জুড়ে একাধিক অনুমোদনহীন পশুর হাট ও রয়েছে। উপজেলা ও পৌর শহর মিলিয়ে মোট ৩৬ টি বাজার রয়েছে বিশ্বনাথে।.
প্রশাসনের অনুমোদনের তালিকায় রয়েছে উপজেলা ও পৌর শহর মিলিয়ে মোট ৪ টি পশুর বাজার। এগুলোর মধ্যে হল- বিশ্বনাথের পৌর শহরে বিশ্বনাথ পুরান বাজার, হাবড়া বাজার ও উপজেলার লামাকাজী বাজার এবং বৈরাগী বাজার। উপজেলা প্রশাসনের তালিকায় আরো ৫টি অস্থায়ী পশুর হাট অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বাজার গুলো হচ্ছে রামপাশা বাজার, পনাউল্লাহ বাজার, প্রীতিগঞ্জ বাজার, সিংগের কাছ বাজার ও খাজাঞ্চী রেল ষ্টেশন বাজার। এই বাজারগুলো ইজারা দেওয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী কাল ২৫মে জুন বিকেলে নিলাম ডেকে ইজারাদারদের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান। পৌর শহরে অস্থায়ী কোন পশুর হাট নিলাম দেওয়া হবেনা এমনটি জানিয়েছেন পৌরসভার (প্যানেল ১) ভারপ্রাপ্ত মেয়র রফিক হাসান।.
সরকারী ইজারা প্রাপ্ত হাটবাজারের ইজারাদাররা অনমোদনহীন বাজারগুলোতে পশুর হাট বসানো ও বেচা কেনা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলেন এভাবে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া হাটবাজার চলতে থাকলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিতের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। তাই এসব বাজারের দিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিৎ।.
পবিত্র ঈদুল আযহা যত সন্নিকটে আসছে ততই উপজেলার সবকটি পশুর হাটে বেঁচা কেনা বেড়েছে বলে জানা গেছে।.
প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলার পশুর হাট বাজার গুলো ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। দেশি বিদেশি গরু, ছাগল, ভেড়ার সংখ্যা চোখে পড়ার মত। প্রান্তিক খামারী, গরু ব্যবসায়ীরা সহ এক-দু’টি গরু ছাগল নিয়ে গেরচত-রা ও ভিড় করছেন স্থানীয় হাটগুলোতে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ বিদেশী গরু দেশে না আসায় ব্যবসায়ীরা দাম বেশি চাচ্ছেন। দাম কষাকষির পাশাপাশি ক্রেতাদের অভিযোগ মানতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। গরু ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে গো খাদ্যের সংকট সহ নানাবিধ কারণে ক্রেতার পছন্দনীয় পশুর দাম একটু বেশি নিতেই হচ্ছে।.
প্রবাশী অধ্যুষিত হিসেবে বিশ্বনাথের খ্যাতি রয়েছে দেশ জুড়ে। এ উপজেলার বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা দেশে থাকা স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন ও কুরবানী আদায় করতে ইতিমধ্যে অনেকেই দেশে ফিরেছেন। পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির পাশা-পাশি গরীব অসহায়দের মধ্যে কুরবানী মাংস বিতরনে তার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করেন। ত্যাগ আর সম্প্রীতির মেলবন্ধন যেন শিক্ষা দেয় ঈদ এমনটাই মনে করেন প্রবাস ফেরত বিশ্বনাথীরা।.
কুরবানীর পশু জবাই শেষে সরকারী বিধিনিষেধ মোতাবেক পশুর বজ্য অপসারন করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সঠিক ভাবে চামড়া সংরক্ষনের পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান। ইতিমধ্যে সরকারী ও পুলিশ প্রশাসনের বিধি আরোপ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / মোঃ সায়েস্থা মিয়া, বিশ্বনাথ-সিলেট
আপনার মতামত লিখুন: