রাজাপুরের চাষি আনোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, ‘গমের ফলন শুরু থেকে এ রোগটা দেখা দিয়েছে। এরপর কৃষি অফিসে জানালেও তারা মাঠে এলো না। শুধু ফোনে বলে এই-ওই ওষুধ দেন। রোগ শুরুর সময় যদি কৃষি অফিসের লোকজন আসতো, তাহলে হয়তো আমাদের এত বড় ক্ষতি হতো না। মাঠের সব গমে এ রোগ হয়েছে। আমার মতো অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত।’.
তিনি আরও বলেন, ‘গম দেখলে মনে হচ্ছে পেকে গেছে, কিন্তু পাকেনি। ফলের মধ্যে কোনো দানা নাই। যেখানে প্রতি বিঘায় ১৫-২০ মণ ফলন পাওয়া যায়, এবার একমণও পাবো কি-না কে জানে। কিন্তু খরচ তো ঠিকই হয়েছে। এখন ধার দেনা করে ক্ষেত পরিষ্কার কআরেক চাষি ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এবার গম বেশ ভালোই হচ্ছিল। ভেবেছিলেন ফলনও ভালো পাবেন।.
কিন্তু হঠাৎ রোগ দেখা দিলো। ওষুধ দিলেও কাজ হয়নি। তবে কৃষি অফিসের কেউ মাঠে দেখতে আসেনি। এবার কোনো ফলন তো পাবো না, এরসঙ্গে বীজও পাবো না। ধার-দেনা ও ঋণ করে চাষ করেছিলাম। এ অবস্থায় কী করবো বুঝতে পারছি না।’তাদের মতো আলতাফ হোসেন, উম্বার, মিলন হোসেন, জহির রাজও এবার গম চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।মনোয়ার হোসেন মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, ‘একটু লাভের আশায় ৪০ বিঘা জমিতে প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ করে গমের আবাদ করছি।.
কিন্তু এবার তো কোনো ফলন হয়নি। ভেবেছিলাম ফলন তোলার পর গম বিক্রি করে সব ধারদেনা শোধ করবো। এখন তো পুরোটাই লস। এখন আবার ক্ষেত পরিষ্কার করতে হবে। এবার গম চাষ করে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি।’এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান। ডে নাইট নিউজকে বলেনএবার গমের ফলন বেশ ভালোই দেখা যাচ্ছে।.
তবে সদর উপজেলার বসন্তপুরের কিছু কিছু স্থানে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। চাষিদের রোগ দমনের পরামর্শ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী চাষিরাও ছত্রাক ও বালাইনাশক স্প্রে করেছে। আগামী মৌসুমে ব্লাস্ট প্রতিরোধী বারি-৩৩ জাতের গম চাষের পরামর্শ দিয়েছি.
ডে-নাইট-নিউজ / আল-আমিন খোকন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি :
আপনার মতামত লিখুন: