• ঢাকা
  • রবিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

রামুতে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৪ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:১২ এএম;
রামুতে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
রামুতে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

কক্সবাজারের রামু উপজেলার এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক বাল্য বিবাহ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মোসাঃ দিলোয়ারা খনাম ইপসা (১৫)।.

সে সেখ হাসিনা জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী, এবং জোয়ারিয়ানালা নন্দাখালী মুরাপাড়া ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওসমান গনির মেয়ে। অভিযোগ উঠেছে, স্হানীয় ইউপি সদস্য আব্দু জলিলের পত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহায়তা এবিয়ে সম্পূর্ণ করেন তার পিতা-মাতা। সূত্রে জানাযায়,.

এ বিয়েতে ওই ছাত্রী  দিলোয়ারা খানম (ইপসা) রাজি না থাকলেও মেয়ের বাবা ওসমান গনি জোরপূর্বক তাকে রাজি করান বলে জানাযায়। শুক্রবার (৩ মার্চ) রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নন্দাখালী মুরা পাড়ায় নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এবিয়ে সম্পন্ন করেন। স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের  ইউপি সদস্য আব্দু জলিলের সহযোগীতায় এবিয়ে হয়েছে। স্হানীয় ইউপি সদস্য আব্দু জলিলকে বাল্য বিবাহ সম্পর্কে অবগত করা হলে তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডে বিয়ে হচ্ছে শুনেছি তবে বাল্য বিবাহ সম্পর্কে কিছুই জানি না। সূত্রে জানতে পারি  ইউপি সদস্য সরেজমিনে ওই বিয়েতে উপস্থিত থেকে বরযাত্রীদের বরণ করেনেন। .

 .

জোয়ারিয়ানালা নন্দাখালী মুরাপাড়া এলাকার মোসাঃ দিলেয়ারা খানম ইপসা (১৫) নামক এক নাবালিকা মেয়েকে পরিবারের লোকজন জোরপূর্বক বাল্য বিবাহ দেয়ার অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মোসাঃ দিলোয়ারা খানম ইপসা রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নন্দাখালী মোরাপাড়া গ্রামের ওসমান গনির কন্যা এবং জোয়ারিয়ানালা শেখ হাসিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। মাত্র ১৫ বছর বয়সী শেখ হাসিনা হাইস্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে জোরপূর্বক ভাবে বাল্য বিবাহ দেয়ায় এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিন বরযাত্রী অতিথিরা কন্যার বাড়িতে আসলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গ্রামের অনেকে বলেন, মেয়েটির বিবাহের বিষয়ে আমরা সাংবাদিকদ এবং ইউনিয়নের মেম্বারের নিকট বিভিন্নভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তাতেও বিয়ে বন্ধ করা যায়নি। বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারলাম মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এই কারনে মেয়েটির কাবিননামায় রেজ্রিষ্টার করানো হয়নি। এইদিকে বর যাত্রীর লোকজন আসার পর  দিনভর অনেক নাটকীয়তার পর বিকাল চার টার দিকে পিএমখালি ইউনিয়নে গুলারপাড়া গ্রামের মোস্তফার ছেলে আব্বাস উদ্দিনের সাথে বিয়ে হয়।.

উক্ত বাল্য বিয়ের ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে বলেন, বর্তমানে বাল্য বিয়ে সহ সামাজিক বিভিন্ন অবক্ষয়ের প্রতি যেভাবে সরকার এবং মিডিয়া সোচ্ছার, ঠিক এই সময়ে বিভিন্ন ভাবে  জানাজানি হওয়ার পরও ঠেকানো গেল না এই অবুঝ মেয়েটির বিয়ে। কিভাবে সংসার করবে এই মেয়ে? সে কি আদৌ পারবে সন্তান বহনের ধারনক্ষমতা। নাকি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় কোন দুর্ঘটনা অপেক্ষা করছে অথবা তার ভবিষ্যত প্রজন্মের। এলাকাবাসী সহ আজ সকল সচেতন জনতার এ প্রশ্ন প্রশাসনসহ সকলের কাছে।.

অভিযোগে আরও বলা হয়, ইউপি সদস্য আব্দু জলিলের নেতৃত্বে শুক্রবার দিন (৩ মার্চ) ওই ছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত থেকে  ছাত্রীর বিবাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। .

এদিকে জোয়ারিয়ানালা শেখ হাসিন বালিকা  উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হোসাইনের দাবি, বাল্য বিবাহ ঠেকাতে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাহমিদা মোস্তফাকে অবগত করলেও তিনি তা বন্ধে কোন পদেক্ষেপ নেননি। প্রধান শিক্ষক মো. হোসাইন বলেন,  আমার বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীর গোপনে খুবই কম বয়সে (১৪/১৫ বছরে)বাল্য বিবাহ হয়ে যাচ্ছে, মেয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনে অন্যতম অন্তরায় আমার বিদ্যালয়ের  ৯ম শ্রেণির নিয়মিত শিক্ষার্থী  দিলোয়ারা খানম ইপসা, রোল ৭১, বয়স-১৫. তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে জানতে পেরেছি, যখন বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। শুনলাম মেয়েটি নাকি অনেক কান্নাকাটি করতেছে। গত ২ মার্চ বৃহস্পতিবার কাবিন হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেছেন। প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, এবিষয়ে নিজে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)ফাহমিদা মোস্তফারকে অবগত করেছেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মোস্তফার মোটো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।. .

ডে-নাইট-নিউজ / স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার,, 

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ