মো: উজ্জ্বল আহমেদ, হবিগঞ্জ: - খোলা আকাশের নিচে বছরের পর বছর রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে অনেক দামি যানবাহনের যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে বিভিন্ন সময় জব্দ হওয়া অর্ধশতাধিক যানবাহন মামলার দীর্ঘসূত্রতায় থানা প্রাঙ্গণে পড়ে রয়েছে।.
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানা প্রাঙ্গণে মামলার জটে অযতে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে মোটরসাইকেলসহ বিপুলসংখ্যক যানবাহন। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রাইভেটকার, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ নানা ধরনের যানবাহন চুনারুঘাট থানা প্রাঙ্গণে পড়ে রয়েছে। জব্দকৃত যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি। দীর্ঘদিন অযত্নে-অবহেলায় রাখা এসব যান বাহনে জং ধরে জরাজীর্ণ ও বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। .
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদকসহ অবৈধ পণ্য পাচার, বৈধ কাগজপত্র না থাকা, ছিনতাইসহ অপরাধীদের ব্যবহারের সময় যানবাহনগুলো জব্দ করা হয়। আবার দুর্ঘটনাকবলিত ও চোরাই গাড়ি উদ্ধার করেও থানা প্রাঙ্গণে ফেলে রাখা হয়েছে। এসব যানবাহনের কোনোটির রেজিস্ট্রেশন নেই, আবার কোনোটি মামলার কারণে আটকে আছে। আদালতের অনুমতি না থাকায় এগুলো নিলামে বিক্রি করা যাচ্ছে না। এতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এসব যানবাহন থানায় পুলিশ হেফাজতে পড়ে থাকছে।.
থানা পুলিশ জানায়, জব্দ করা এসব যানবাহন আলামত হিসেবে থানায় সুষ্ঠভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। ফলে এসব যানবাহন নিয়ে পুলিশও বেকায়দায় রয়েছে। যানবাহন থানা প্রাঙ্গণের বড় একটি জায়গা দখলে রাখার পাশাপাশি পরিবেশও নষ্ট করছে। চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ রাশেদুল হক বলেন, ‘থানায় ২৭টি মোটরসাইকেল, ৯টি পিকআপসহ জব্দ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় এগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে’।.
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার এসব যানবাহন বিভিন্ন মামলার জব্দ তালিকায় থাকার কারণে থানা প্রাঙ্গণে রাখা হয়। দীর্ঘদিনেও মামলা নিস্পত্তি না হওয়ায় এসব যানবাহন নষ্ট হচ্ছে। এগুলো দেশের সম্পদ। তাই ব্যবহার উপযোগী থাকা অবস্থায় মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন আদালত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে রাজস্ব আয় বাড়ানো যায়।.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: