লক্ষ্মীপুরে এক প্রবাসীর বাড়ি নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মিথ্যা মামলা ও মারধর করে হত্যাচেষ্টাও করা হয় পরিবারের সদস্যদের। বন্ধ করা হয়েছে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ। .
ভুক্তভোগী প্রবাসী আবদুল মোতালেব খোকন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাহাপুর গাছি মসজিদ সংলগ্ন চাঁনগাজি হাওলাদার বাড়ির আনোয়ারুল হকের ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত মাহাতাব উদ্দিন ভুইয়া সোহেলও একই এলাকার বাসিন্দা। .
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে থাকা জমিতে খোকন বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। প্রতিপক্ষ সোহেল হয়রানির উদ্দেশ্যে নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই পৌরসভা, থানা ও আদালতে একাধিক মামলা করেন। যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় মামলা গুলো খারিজ হয়ে যায়। তবে একটি দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। .
বৈঠকের সিদ্ধান্তক্রমে জমি পরিমাপ করে বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু করা হয়। কিছুদিন কাজ চলার পর পুনরায় নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয় সোহেলরা। একপর্যায়ে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এতে খোকনের স্ত্রী রক্তাক্ত জখমসহ আহত হয়েছে।.
খোকনের স্ত্রী শিমু আক্তার বলেন, বিল্ডিং নির্মাণের শুরু থেকেই সোহেলরা বিভিন্নভাবে বাঁধা দিচ্ছে। কিন্তু কাগজপত্র না থাকায় সব জায়গায় ব্যর্থ হয়েছে তারা। এজন্য হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আমাদের মারধর করে। এতে আমার মাথায় রক্তাক্ত জখমসহ মারাত্মক আহত হয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। .
আরও বলেন, আমরা পৌরসভা, থানা আদালত সব জায়গায় আইন মান্য করেছি। দেওয়ানি মামলায় নিষেধাজ্ঞাও মেনেছি। কিন্তু সোহেলদের আইনজীবী আমাদেরকে শালিসি বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন। ওই প্রস্তাবে প্রথমে রাজি না হলেও পরে স্থানীয় মুরুব্বিদের অনুরোধে বৈঠকে গিয়েছি। সেখানে মানবিকতা ও শালিসদারদের সিদ্ধান্তের ফলে তাদের চলাচলের জন্য আমাদের জমি ছেড়ে দিই। তবে ওই জমির কোন মূল্য সোহেলরা পরিশোধ করেনি।.
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। দ্বিতীয় তলায় ছাদ ঢালাইও দিয়েছি। কিন্তু কখনো বাঁধা দেয়নি সোহেলরা। সম্প্রতি ২ মার্চ হঠাৎ করে সোহেল লোকজন নিয়ে আমাদের মারধর শুরু করে। এ ঘটনার কয়েকদিন পর আমাদের নামে মামলাও দেয়। এখন আবার পূর্বের নিষেধাজ্ঞা দেখিয়ে আমাদের বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজও বন্ধ করে দেয়।.
তবে অভিযোগগুলো অস্বীকার করে সোহেলের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নারগিস আক্তার বলেন, খোকনরা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আমাদের জমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করছে। বাঁধা দেওয়ায় মারধর করেছে আমাদের। থানায় মামলা দিয়ে আমাদের পুলিশ দিয়ে আটক করে নিয়ে যায়।.
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মহি উদ্দিন বলেন, মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা করেছে। এজাহার অনুযায়ী আমরা কয়েকজনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছি। বাকিরা কেউ পলাতক আবার কেউ জামিনে রয়েছেন।.
ডে-নাইট-নিউজ / আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: