লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদরের লাহারকান্দি ইউনিয়নে নির্বাচনকালীন সময়ে পক্ষে ভোট না করায় বিদেশ ফেরত এক কৃষকের স্ত্রীর গালে চড় আর স্বামীর মাথা ফাটিয়ে দিলেন নব নির্বাচিত ইউপি মেম্বার। লাঠি দিয়ে বেধড়ম মারধর করে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ মারত্বক জখম করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি মেম্বার সিরাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। মেম্বারের নেতৃত্বে খলিল, কাশেম, তার ছেলে হৃদয় ও মেম্বার ছেলে পিয়াস হামলা চালায়। মেম্বার নিজেই মহি উদ্দিনের স্ত্রী ইশরাত জাহান পলির ডান গালে চড় বসিয়ে দেয়। লাঠি দিয়ে বেধড়ম মারধর করে। এতে মহিউদ্দিনের মাথায় চার সেলাই দিতে হয়েছে। এদিকে ভাই ভাবিকে বাঁচাতে গিয়ে হামলা শিকার হন মহি উদ্দিনের ছোট ভাই নাজিম উদ্দিন। রেহাই পায়নি মহি উদ্দিনের শিশু সন্তানরাও। গত শুক্রবার দুপুরে বাইশমারা এলাকার খলিফা বাড়ী দরজায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শুক্রবার রাতেই আহতদের দেখতে সদর হাসপাতালে যান নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম।.
.
অভিযোগ ও ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘ দিনে হতে উভয়পক্ষের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। পরস্পরর এওয়াজ বন্টনের মাধ্যমে পাওয়া জমি বুজিয়ে নিতে গত ১২ মে কৃষক মহি উদ্দিনের বাড়ীর সামনে বেড়া দিয়ে দখলের চেষ্টা করে সিরাজ মেম্বার। বিষয়টি সদর থানায় অবগত করার পর ১৭ মে শুক্রবার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে আসে। পুলিশ যাওয়ার পরই হামলা চালায় তারা।.
.
ভুক্তভোগী মহি উদ্দিনদের অভিযোগ, নির্বাচনকালীন সময়ে সিরাজ মেম্বারের ভোট না করার কারণে তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ না মুলত তার নির্বাচন না করায় সে ক্ষীপ্ত হয়ে এই হামলা চালায়। এর আগে লোক দিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয় সে। তিনি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।.
.
তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানা উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন, মহি উদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করছে পরবর্তীতে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনা আহতরা আইনের আশ্রয় নিলে আমরা সেটা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তবে সিরাজ মেম্বার একটা অভিযোগ দিয়েছে।.
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিরাজ মেম্বারের ব্যবহারিত মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। .
.
নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম বলেন, দুই পক্ষই আমাকে জানিয়েছে। যতটুকু জানি মেম্বারের সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তাদের দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনায় মহিউদ্দিন সহ তার পরিবারের অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তারা আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে তাদের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে এলাকায় সমোঝতার চেষ্টা করবো।.
. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: