লামাকাজি বিশ্বনাথ রোডের বেহাল দশা, ভাঙ্গায় ব্যক্তিগত সংস্কার : যান চলাচল স্বাভাবিক .
.
বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ বিশ্বনাথ উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়ক রশিদ পুর বিশ্বনাথ ভায়া লামাকাজি রোডে ব্যাক্তিগত গর্ত ভরাট করে দিয়েছেন ফয়জুল ইসলাম নামের এ সমাজ সেবক। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ভাঙ্গা ও পিচ ঢালাই উঠে যাওয়ার কারণে মেরামতের সিদ্ধান্তঃ নেয় সওজ কতৃপক্ষ। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতায় রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। এ অভিযোগ যাত্রী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের। একটানা কাজ শেষ না করে রেখে রেখে কাজ করার কারণে খুঁড়ে রাখা স্থান গুলোতে বৃষ্টির পানি জমে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলো পুকুরসম হওয়ায় পরিবহন গুলো পড়ছে আটকা। প্রতিদিন ঘটছে দূর্ঘটনা। রোগী ও জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। বাস, ট্রাক, সিএনজি সহ সকল প্রকার যানবাহন ধেবে গিয়ে যান চলাচল ও জনসাধারণের চলচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটায় ক্ষুব্ধ যাতায়াতকারী জনসাধারণ ও পরিবহন শ্রমিকেরা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশের পরও কর্তৃপক্ষের টনক না নড়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খুঁটির জোর কোথায় তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।.
.
বর্তমানে এই সড়কটির রামপাশা গ্রামের দক্ষিণ ও আজিজ নগর গ্রামের উত্তরের মধ্যখানে এফ সি ব্রিকস ফিল্ডের পাশে মারাত্মক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই গর্তে প্রতিদিন কোন না কোন বাহন আটকা পড়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গত দুই দিনে কমপক্ষে শতাধিক গাড়ি আটকার ঘটনা ঘটে। পরে যাত্রী ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় টেনে-টুনে গাড়ি গুলো উদ্ধার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা এখানকার বাসিন্দাদের মানবিক কাজের রুটিন অংশ হিসেবে দাড়িয়েছে। এতে অনেকেই বিরক্ত ও হতাশাগ্রস্ত। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। সরকারি দপ্তরের অধীনে সড়কটি দেখভালের দায়িত্ব থাকলেও এটি নিয়ে রহস্যজনক ভাবে কেউ মুখ খুলতে চান না। .
.
আজ পহেলা মে রাত ১ ঘটিকা থেকে একসাথে বড় দুটি ট্রাক ধেবে গেলে সকাল থেকে প্রচন্ড যানজটের ও দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। জগন্নাথপুর উপজেলা খাদ্য দপ্তরের একটি গম বোঝাই ট্রাক ধেবে গিয়ে বিঘ্নের সৃষ্টি করে। পরে দুপুর দুইটায় কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে এসে ট্রাকের মালামাল নামিয়ে অন্য একটি পরিবহনে নিয়ে ট্রাকটি উদ্ধার করেন। অন্য আরেকটি ট্রাককে ক্রেনের মাধ্যমে টেনে তুলে সরিয়ে সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। .
.
এসময় বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবের কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মকর্তা সাংবাদিকরা এখানে এসে আটকা পড়েন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে বিষয়টি তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে তুলে ধরেন। লাইভ সম্প্রচার কালীন এমন সমস্যা সমাধানে ব্যাক্তিগত ভাবে খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফয়জুল ইসলাম এগিয়ে আসেন। এবং প্রাথমিক ভাবে বালু ও ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করার প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন। এর ঘন্টা খানেক পর বালু, ইটের গাড়ি ও শ্রমিক পাঠিয়ে দেন তিনি। .
.
বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চলাকালীন জনগুরুত্বপূর্ণ এসড়কের সমস্যা সমাধানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক পরিচয় দাতা এই ব্যাক্তির নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় চার ঘন্টার পরিশ্রমের বিনিময়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে স্বাভাবিক হয় এই রোডের যানবাহন চলাচল।.
.
বালু ও ইট দাতা ফয়জুল ইসলাম জানিয়েছেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে লাইভ চলাকালীন যানজটের দীর্ঘ লাইন ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দেখে তিনি তাৎক্ষণিক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করেন কিন্তু নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের কারণে তিনি কোন উদ্যোগ নিতে সম্মত না হয়ে অন্যুপায়ে সমাধান করার পরামর্শ দেন। তখনি তিনি নিজস্ব তহবিল থেকে বালু ও ইট ক্রয় করে শ্রমিক সহ পাঠিয়ে দেন। এতে করে প্রাথমিক সমাধান হয়েছে। .
.
বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফয়জুল ইসলামের এমন কাজকে যাত্রী, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক বৃন্দ সানন্দে গ্রহণ করে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন।.
.
রাস্তাটি পরিপূর্ণ সংস্কার কবে শেষ হবে এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় কোন উত্তর জানা যায়নি। বিশ্বনাথ উপজেলা এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করলে প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান রোডটি আরএইচডি ( সওজ) কর্তৃপক্ষের আওতায় থাকার কারণে তিনি কিছুই জানেন না। .
. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: