টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কালিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মোফাজ্জল হোসেনের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সাদেকুর রহমান বাদী হয়ে গত বছরের ৭সেপ্টেম্বর ডিজিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। ডিজি অফিস থেকে অভিযোগটি তদন্তের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদের নিকট পাঠিয়েছেন।.
আগামীকাল বুধবার কালিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উক্ত তদন্ত করবেন টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, মো.আ.রশিদের মেয়ে মিম(৫ম শ্রেনী রোল ০১) এর নিকট থেকে প্রধান শিক্ষক মো.মোফাজ্জল হোসেন সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ০৮ডিসেম্বর২০২২ তারিখে পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০টাকা,একটি লাক্স সাবান ৪৫টাকা গ্রহন করেছেন।.
একইভাবে ১ম,২য় শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ ২০টাকা,একটি লাক্স সাবান ৪৫টাকা,৩য়,৪র্থ,৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০টাকা,একটি লাক্স সাবান ৪৫টাকা গ্রহন করেছেন। এমনকি বিগত ২৯আগষ্ট/২০২১ইং তারিখে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর প্রেমঘটিত ঘটনায় পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন এবং মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরী(মাষ্টার রোল) সোহেল রানাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করেছেন। .
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফিউল ইসলামকে জানানো হলে তিনি সত্যতা পাওয়ার পরও অজ্ঞাতকারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে প্রধান শিক্ষক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ও তাদের পিতা-মাতাদেরকে তদন্ত কমিটির নিকট কিছু না বলার জন্য হুমকি-ধামকি দিচ্ছে ও গোপনে দস্তখত নিচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। .
উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফিউল ইসলাম বলেন,আমাকে অভিযুক্ত করে ডিজি অফিসে সাদেকুর রহমান ও আঃ রশিদ অভিযোগ করেছে,এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার(ডিপিও) স্যার বুধবার(০৫এপ্রিল) তদন্ত করবেন। টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: