গত কয়েক মাসের খরতাপে সিলেটের চা বাগান গুলোতে দেখা দিয়ে ছিলো হতাশা। যে পরিমান চা উৎপাদন হওয়া কথা ছিলো সে পরিমান না হওয়া তে চা বাগান মালিকদের মাঝে দেখা দিয়ে ছিলো নানা দুঃশ্চিন্তা, তার একমাত্র কারণ হিসেবে ধরা হয় বৃষ্টি সময় মতো এ বছর বৃষ্টি না হওয়াতে অনেক বাগানে চাপাতা গাছ প্রায় হলুদ রংঙ্গের পাতায় দৃষ্টি পায়, অনেক গাছ আবার মরেও গেছে। গত দুদিনের বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে সিলেট ও মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের চা বাগানগুলোতে। বৃষ্টির কারণে এবার ভালো উৎপাদনের আশা করছেন বাগান সংশ্লিষ্টরা।.
সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট, মাধবপুর, বাহুবল ও নবীগঞ্জের কয়েকটি চা বাগানে ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিভেজা চায়ের কুঁড়ি আরো সতেজ হয়ে উঠেছে। তেলিয়াপাড়া চা কারখানায় সবুজ কুড়ির স্তুপ। সব প্রক্রিয়া শেষে কুড়িগুলো রয়েছে বাজারজাতের অপেক্ষায়।.
চা বাগান সূত্রে জানা যায়, এ বছর হবিগঞ্জ জেলার ২৫টি চা বাগানে সোয়া এক কোটি কেজি চা পাতা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাগান গুলোতে উৎপাদন শুরু হওয়ায় এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আশাবাদ বাগান কর্তৃপক্ষের।
বাগান মালিকরা জানান, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে চা বাগানগুলোর জন্য অনেক ভালো হয়েছে। এ সময় টাতে বৃষ্টি না হলে পাতা লালচে রঙ ধারন করাসহ গাছে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। তবে এবার সঠিক সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকবে গাছ এবং উৎপাদনও ভাল হবে।.
এদিকে বৃষ্টি হওয়াতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কমেছে। দুই সপ্তাহ পর এই বৃষ্টির পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাবে। অন্যান্য বছর আরো আগেই বৃষ্টি হয়। ফলে এই সময়ে বাগানের উৎপাদন থাকতো সর্বোচ্চ পর্যায়ে। যেহেতু এখনও মৌসুমের শুরু অবস্থা, তাই যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে মৌসুম শেষে অনেক ভালো উৎপাদন হবে। .
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: