সিলেট বিভাগ জুড়ে অসহনীয় বিদ্যুতের লোড শেডিং দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনের তীব্র তাপমাত্রায় সিলেটে বিভাগে বিদ্যুতের দেখা দিয়ে লোড শেডিং। যা দিন এবং রাতে গড় হিসেবে ৪/৫ ঘন্টা বিদ্যুত পাচ্ছেন সিলেট বাসী। অনেকটাই লোড শেডিংয়ের বৃত্তে বন্দী হয়ে আছে সিলেট।.
জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুঁটির দিনেও নগরবাসীকে পড়তে হয়েছে বিদ্যুৎ বিড়ম্বনায়। দিনের বেলায় দফায়-দফায় লোড শেডিং হলেও রাতের বেলায় এর মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে মধ্যরাত পর্যন্ত নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে সিলেটের কয়েক লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহককে। রোববার থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। নগরজুড়ে লোডশেডিংয়ের অস্থিরতা আরো বেড়েছে।.
জানা গেছে, নগর এলাকায় ১ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের পর বিদ্যুতের দেখা মিললেও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জেলা উপজেলা ও গ্রামীণ জনপদে দিনে রাতে মিলে গড়ে ৩ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না মানুষ। মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে সর্বত্র জনজীবনে চলছে হাঁসফাঁস।.
নগরীর কদমতলী এলাকার বাসিন্দা শামিম আহমদ বলেন, বিদ্যুৎ কখন যায় আর আসে ঠিক নেই। ১ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ফিরছে ১ঘন্টারও বেশী সময় পর। গেল ২৪ ঘণ্টায় পাঠানটুলা এলাকায় গড়ে ১০ ঘন্টার বেশী সময় লোডশেডিং হয়েছে। শহরের পরিস্থিতি যদি এমন হয়। তাহলে গ্রাম এলাকায় কি হচ্ছে তা কল্পনাই করা যায় না। গ্রামের মানুষ বলে থাকেন- গ্রামে বিদ্যুৎ যায় না মাঝে-মাঝে আসে।
জানা গেছে, শহরের বাইরে এ সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। আগে তাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩-৪ ঘন্টা লোডশেডিং স্বাভাবিক হিসেবেই নিয়েছিল গ্রাম-গঞ্জের মানুষ। কিন্তু এখন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ ঘন্টাই থাকছে না বিদ্যুত এতে নাজেহাল হতে হচ্ছে এসব এলাকার মানুষদেরকে। লোডশেডিং নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।.
এদিকে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কয়লা সংকটে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের উৎপাদন। রোববার ভোররাতে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাব রোববার সকাল থেকেই পড়তে শুরু করেছে পুরো সিলেট জুড়ে। সকাল থেকেই বিভাগে বেড়েছে লোডশেডিং। ৪ শতাংশ লোডশেডিং বাড়িয়ে সিলেটে লোডশেডিং করা হয়েছে ৩৬ শতাংশ। যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: