গত মঙ্গলবার (১৪ফেব্রুয়ারি) সিলেটে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যান চুনারুঘাট উপজেলার বালিয়াড়ি গ্রামের আলকাছ মিয়া (৪৫)। ফেরার পথে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮ টায় বাহুবল উপজেলার বাগানবাড়ি এলাকায় হবিগঞ্জ সিলেট বিরতিহীন এক্সপ্রেস বাস দুর্ঘটনায় মারা যায় সে।পরিচয় না পেয়ে পরদিন শুক্রবার রাতে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে রাজনগর পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর একদিন পর শনিবার সকালে স্বজনরা প্রতিবেশীদের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দেখে নিশ্চিত হন দুর্ঘটনায় নিহত পরিচয় না পাওয়া মৃতদেহটি আকলাছ মিয়ার।.
এরপর থেকে স্বামীর লাশ ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানায় গিয়ে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন স্ত্রী জেসমিন আক্তার। বারবার ধর্ণা দিয়েও কোন কুল কিনারা করতে পারছেন না তিনি। জেসমিন আক্তারের দাবি তিনি তার স্বামীর লাশটি শেষবারের জন্য দেখতে চান। যে কোন মূল্যে তিনি তার স্বামীর লাশ ফেরত চান।.
সরেজমিনে নিহত আলকাছ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে স্তব্ধ গোটা গ্রামও। স্বামীর এমন মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ আকলাছের স্ত্রী জেসমিন আক্তার। ছোট পাঁচ শিশু সন্তানকে নিয়ে কী করবেন ভেবে কুল পাচ্ছেন না।.
এ সময় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তিনি বলেন, “আমার স্বামী ছাড়া আমার বাচ্চা-কাচ্চার আর কেউ নাই, ই বাচ্চারারে কেটায় দেখবো? সন্ধ্যার সময় রান্দার মতো চাউলও ঘরে নাই, আপনারা আমারে সাহায্য করইন”। এসময় তিনি তার স্বামীর লাশ ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। নিহত আলকাছ মিয়ার মা আমিনা খাতুন বলেন,” আমি আমার ছেলের লাশ চাই, আমি আমার ছেলেরে দাফন করতাম চাই।”.
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, লাশের দাবি নিয়ে স্বজনেরা আমার কাছে আসছিলো। তাদের সাথে কথা হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য আগামীকাল (সোমবার) সকালে তাদেরকে আসার জন্য বলেছি।.
এসময় তিনি পিবিআই’র মাধ্যমে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের চেষ্টা করা হলেও কোন তথ্য আসেনি বলেও জানান।. .
ডে-নাইট-নিউজ / উজ্জ্বল আহমেদ হবিগঞ্জ:-
আপনার মতামত লিখুন: