জন্মনিববন্ধন, আইডি কার্ড, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এখন অনলাইনে হলেও হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন টেলিকম ও কম্পিউটার দোকানে এসব তৈরিতে জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। যারা কাগজপত্র সনাক্ত করতে গিয়ে নিজেরাই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জাল সীল, স্বাক্ষর দিয়ে দিচ্ছে। এমন খবর দীর্ঘদিনের হলেও অবশেষে চক্রটির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে সদর থানা পুলিশ। আটক করা হয়েছে দুই জনকে। যদিও পুলিশ বলছে এ ঘটনার সাথে আরো কারা কারা জড়িত এর জন্য থানায় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।.
খবর নিয়ে জানা গেছে, এমপি, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শহরের পুরাতন পৌরসভা, ২নং পুল এলাকার এসপি অফিসের সামন, ভাঙারপুল, পোদ্দার বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে কম্পিউটারের দোকান। গ্রামগঞ্জ থেকে আসা সহজ সরল মানুষজন তাদের ফাঁদে ধরা দেন। সুযোগ বুঝেই মোটা অংকের টাকা নেয় চক্রটি। বানিয়ে দেয় বিভিন্ন জাল কাগজপত্র।.
সম্প্রতি ভাঙ্গারপুল এলাকার মুয়াজ টেলিকমের মালিক আব্দুল আজিজ ও তার ভাই সাজিদ এক মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে জন্মনিববন্ধন তৈরি করে দেয় শায়েস্তানগর এলাকার দিপালী স্টোরের মালিক লিটন দেবের পুত্রকে। বিষয়টি মেয়র আঁচ করতে পেরে সদর থানার পুলিশকে অবগত করেন। .
গতকাল বুধবার রাত ৮টায় সদর একদল পুলিশ মুয়াজ টেলিকমে অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা আজিজকে আটক করেন। তার স্বীকারোক্তি মতে পরে দিপালী স্টোরের মালিকের পুত্রকেও আটক করা হয়। এ রিপোর্ট লেখাকালে তাদের কাছ থেকে ভূয়া কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত বদিউজ্জামান জানান, জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানা যাবে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / উজ্জ্বল আহমেদ হবিগঞ্জ:-
আপনার মতামত লিখুন: