ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শহরবাসিকে। এছাড়াও নষ্ট হচ্ছে বাসা বাড়িতে থাকা টিভি ফ্রিজ এসিসহ নানা ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পিডিবির কর্মকর্তাদের কাছে ফোন করলেই তারা বলেন সরবরাহ কম। অথচ শহরসহ আশপাশের এলাকাগুলো রয়েছে শতাধিক অবৈধ টমটম গ্যারেজ। যে কারণে ওইসব গ্যারেজে টমটমের পেটে যাচ্ছে বিদ্যুতের একটি বড় অংশ। যদিও সেগুলো দেখেও না দেখার টালবাহানা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।.
গত কয়েকদিন হবিগঞ্জ শহরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও আবারো শুরু হয়েছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের বিদ্যুত ব্যবস্থাকে পিডিবি কয়েকটি ফিডারে ভাগ করেছে। আর এসব ফিডারে নিয়ম করে লোডশেডিং করা হয়। এসব ফিডারের আওতায় শায়েস্তানগর, রাজনগর, মোহনপুর, অনন্তপুর, ২নং পুলসহ বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দিনের বেলা লোডশেডিং করা হলে তো হাটাহাটি করে কোনো রকম চলাচল করা যায়। কিন্তু রাতের বেলাও সমানতালে লোডশেডিং করায় শিশু, বৃদ্ধসহ সকল বয়সী মানুষজনকে গরমের মধ্যে পড়তে হয় চরম অস্বস্থিতে।.
তাদের অভিযোগ, ওইসব ফিডারে ১ ঘণ্টা পর পর লোডশেডিং করা হলেও মাঝখানে আবার ১০ মিনিটের জন্য লোডশেডিং করা হয়। এতেই বুঝা যায়, পিডিবি ইচ্ছা করেই ওই ফিডারে অতিরিক্ত লোডশেডিং দিচ্ছে। গত বুধবার কোনো সিডিউল ছাড়া ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুত বিহীন ছিলো শ্যামলী ফিডারের আওতাধীন সকল এলাকা। এ ছাড়াও সকাল ১০ টার পর থেকে নিয়মমাপিক ১ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হয়। তবে এই ভোগান্তির শেষ কোথায় তা জানা নেই কারো।. .
ডে-নাইট-নিউজ / উজ্জ্বল আহমেদ, হবিগঞ্জ:
আপনার মতামত লিখুন: