• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২১ ফেরুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

হামলা মামলায় দিশেহারা প্রবাসী পরিবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ ফেরুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৩৪ পিএম;
হামলা মামলায় দিশেহারা,   প্রবাসী পরিবার,  সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
হামলা মামলায় দিশেহারা প্রবাসী পরিবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

মসজিদের ক্যাশের হিসাব চাওয়াতে আ.লীগ পরিবারের হামলা ও মামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এক সৌদি আরব প্রবাসী পরিবার। আ.লীগ পরিবারের হামলা ও মামলার শিকার প্রবাসী হচ্ছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ধলিপাড়া (শেখপাড়া) গ্রামের মৃত শমসের আলী মাস্টারের ছেলে ফিরোজ আলী। তিনি প্রায় ৩ বছর পূর্বে ছুটিতে এসে আ.লীগ পরিবারের লোক একই গ্রামের আছকির মিয়া ও আশিক মিয়ার হামলা মামলার শিকার হয়ে আর বিদেশে যেতে পারেননি। এমন অভিযোগ এনে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে প্রবাসী ফিরোজ আলী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য দেন। তার লিখিত বক্তব্য হুবহু ধরে তুলা হলো।.

 .

 .

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি দেশে আসার পর অর্থাৎ ২০২৩ সালে আমাদের গ্রামের মসজিদের মোতাওয়াল্লী আলতাব মিয়া লন্ডনে যাওয়ার পূর্বে তিনির চাচাত ভাই ছালেক মিয়াকে (ক্যাশিয়ার) ভারপ্রাপ্ত মোতাওয়াল্লীর দায়িত্ব দিয়ে যান। আমরা মসজিদের কয়েকজন মুসল্লি ক্যাশিয়ার ছালেক মিয়ার কাছে টাকা পয়সার হিসাব নিকাশ চাই। তিনি দেব দিচ্ছি বলে দীর্ঘদিন সময় ক্ষেপন করেন। এক পর্যায়ে তিনি মসজিদের হিসাব না দিয়ে খাতাপত্র আমাদের উপর ছুড়ে ফেলে আমাদের উপর ক্ষেপে যান এবং হামলার উদ্দেশ্যে গালি গালাজ করে মসজিদে না যেতে বাঁধা প্রদান করেন। প্রভাবশালি পরিবার আমাদেরকে প্রাণে হত্যার হুমকিতে আমরা মসজিদে না গিয়ে একটি বাড়িতে ৫ মাস নামাজ কালাম আদায় করি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আমরা বেশ কয়েকটি পরিবার একটি টিন সেডের একটি মসজিদ নির্মাণ করি।.

 .

 .

 .

এরই প্রতিহিংসায় নানা সময় আওয়ামীলীগ প্রভাবশালি ওই পরিবার আমাদেরকে হামলার প্রস্ততি নিয়ে থাকে। এরই জেরে ২০২৩ সালের ৩১আগষ্ট অনুমান ৪টার দিকে আছকির মিয়ার চাচাত ভাই আলতার মিয়ার কেয়ারটেকার সাদ্দাম হোসেন (আমার ভাতিজার) সাথে হঠাৎ কথা কাটাকাটি শুরু করে তার উপর হামলা করেন। সাদ্দাম হোসেনের আতœচিৎকার শোনে তার ভাই, মা, চাচাত ভাই, চাচি, এগিয়ে গেলে ৫জনের উপর হামলা করে গুরুত্বর জখম করেন। আমরা তাদেরকে গুরুত্বর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ প্রভাবশালিরা আমার পথ গতিরোধ করে রাখে। দীর্ঘ চেষ্টার পর বিকল্প পথে আমরা আহতদের ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। চিকিৎসা শেষে বিশ্বনাথ থানায় এজহার দায়ের করতে আসলে তৎকালীণ ওসি গাজি আতাউর রহমান মামলা নিতে অনিহা প্রকাশ করেন। কারন জানতে চাইলে তিনি বলে আছকির মিয়া, আশিক মিয়া ও মসজিদের ক্যাশিয়ার ছালেক মিয়া ওরা আওয়ামীলীগের লোক। উপর থেকে বাধা নিষেধ আছে মামলা নিতে পারবনা। পরে আমরা নিরুপায় হয়ে সিলেট আদালতে মামলাটি দায়ের করি। আদালত থানা পুলিশ নির্দেশ দেয় আসামি গ্রেফতার পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আসামি পক্ষকে পরামর্শ দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা ধারা ৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬ (২) ৩৪ বিশ্বনাথ থানায় দায়ের করানো হয়, মামলা নং-১০৮/২৩ইং)। মামলাটি সাজানো হলেও আমাদের বিরুদ্ধে চার্জশীট হয় এবং মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। আসামিদের দায়েরী মামলায় পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় এবং আমাদেরকে বাড়ি পালিয়ে যেতে চাপ দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের ভয়ে আমরা বাড়ি ঘর ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেলে আসামিরা কবির আহমদ ও মাওলানা ফারুক আহমদের বাড়ি বিদ্যুতের লাইন চুরি করে বিদ্যুৎ বিচিন্ন করে তার নিয়ে যায়। বিষয়টি আমরা বিদ্যুৎ অফিসকে জানাই এবং বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীরা আমাদের প্রতিহত করতে এক পর্যায়ে আমাদের সকল চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায়ও আমরা আদালতে একটি সাত ধারা মামলা করেছি (মামলা নং-১৮১/২৩ইং)। এই পথ বন্ধ করার মামলা করায় ফ্যাসিবাদি সন্ত্রাসী আসামিরা আমার ৪ভাতিজাকে আসামি করে ফের আরকটি কাউন্টার মামলা করা হয় বিশ্বনাথ থানায়, (ননজিআর মামলা নং-৪১/২৩ইং)। শুধু তাই নয় আসামিরা ক্ষমতার ধাপট দেখিয়ে আমার ভাতিজা মাওলানা ফারুক আহমদ ও সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট মামলায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়, (বিশ্বনাথ থানা মামলা নং-০৭/১৬৬)। আসামিদের সাজানো দায়েরী ১০৮নং মামলার হাজিরা দিতে গেলে আদালত প্রঙ্গনে আসামিরা আমাদের উপর একধিক আক্রমণ করে। আমরা বিষয় উল্লেখ করে সিলেট কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি এবং পুলিশ গটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দিয়ে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। আসামি আছকির, সালেক ও মারজান এক বেশ কিছুদিন কারাভোগের পর মুসলেকা দিয়ে জামিনে মুক্ত হয়। গত ১২/১২/২৪ইং তারিখে আসামিরা আমাদের বাড়ির পূর্বে মাকুন্দা নদীর পাড়ে সরকারি গাছ কেটে ফেলে। খবর পেয়ে তফসীল অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায় এবং গাছগুলো জব্দ করে। এ ঘটনাকে সন্দেহ করে আমাদের চলাচলের সরকারি রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং আমাকে প্রাণ নাশের  হুমহি দেয়। আমি ভীত হয়ে উপরোক্ত বিষয়টি থানা পুলিশে অবহিত করে একটি সাধারণ ডায়েরী নং-৭৮৩/২৪ইং দায়ের করি। পরদিন থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দালিখ করলে ৪জন আসামি ২৯/০১/২০২৫ইং জামিন নিয়ে এসে তাদের দলবল নিয়ে ৮/০২/২০২৫ইং তারিখে আমার উপর হামলা চালায়। নিকটাতœীরা আমাকে ওসমানী হাসপাতালে যান। এই সুযোগে আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুন নুর ভমরের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম আহমদ ও আনছার মিয়া আশিক মিয়ার নেতৃত্বে আমার ভাতিজা ফরুক আহমদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আমি বিশ্বনাথ থানা একটি এজহার দায়ের করি।.

 .

 .

একের পর এক সাজানো মিথ্যা মামলায় আমরা নিরিহ লোকজন প্রতিনিয়ত আদালতে হাজিরা দিয়ে যাচ্ছি। আসামিরা সব সময় আমাদেরকে নানাভাবে হত্যাসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। ডাকাতি মামলার আসামি আনসার মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা ও মানব পাচারকারি আশিক মিয়া ও আখলিস মিয়া লোক মুখে বলে বেড়াচ্ছে আমাদের দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদক, নারী দিয়ে সাজানো মামলা দিয়ে নিঃশেষ করে ছাড়বে। আওয়ামী, সন্ত্রাসী বাহিনী এখনও তাদের রূপ পরিবর্ত করেনি। প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের ভয়ে আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে ভয় পাচ্ছে। যে কোন সময় আমাদেরকে হত্যাসহ সাজানো মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।.

 . .

ডে-নাইট-নিউজ / বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

অন্যান্য বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ