ঈদকে সামনে রেখে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দর্জি পাড়ার কারিগররা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিন-রাত সেলাই মেশিনের শব্দে চারিদিক মুখরিত। যেন দম ফেলার সময় নেই দর্জি কারিগরদের। সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জি কারিগররা। ঈদে ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ ছোট বড় সকলে নতুন জামা কাপড় পরিধান করে থাকে। আর পছন্দের পোশাক বানাতে দর্জির দোকানগুলোতে ভিড় শুরু করে দিয়েছেন সৌখিন পোশাক গ্রাহকরা, কেননা বাজারে বাহারী পোশাক থাকলেও মানানসই হয়না আর মাপেও ঠিকমতো হয়না।.
পৌর বাজারের আনন্দ টেইলার্স, ডন টেইলার্স, সোসাইটি টেইলার্স, প্রিন্স টেইলার্স, মা টেইলার্সসহ প্রায় সব টেইলার্সেই গ্রাহকরা ভিড় জমাচ্ছেন। আর উৎসব আসলেই বিপণী বিতানগুলোতে নারী-পুরুষের পদচারণা বাড়তে থাকে। তবে, দর্জির দোকানগুলোতে তরুণী ও বিভিন্ন বয়সের নারীদের উপস্থিতি বেশ লক্ষ্যনীয়। তৈরিকৃত পোশাক অনেক সময় শরীরের সাথে পুরোপুরি মানানসই হয় না বিধায় দর্জি দোকানে সেলাই করা পোশাকের প্রতি আগ্রহ থাকে বেশি। নাওয়া খাওয়া কথাবার্তা বলার সময় নেই তাদের। শুধুমাত্র গ্রাহকদের সময়মতো অর্ডার এবং দেয়ার জন্য যত ব্যস্ততা।.
ক্রেতারা জানান, ছেলেমেয়েদের চাহিদা অনুযায়ী ভাল কাপড় কিনে পছন্দের পোশাক তৈরির জন্য দর্জির দোকানে আসা। কেউ পছন্দ করেন তৈরিকৃত পোশাক, আবার নিজ পছন্দের ডিজাইনে তৈরি করা পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এক্ষেত্রে তরুণ তরুণীদের আগ্রহই এগিয়ে। দর্জি কারিগরি নূর আলম, উষা রানী ও পিংকি রায় জানান, বিভিন্ন কাজের ওপর নির্ভর করে আমরা মজুরি নিয়ে থাকি। তবে এবার তুলনামূলক কাজের চাপ একটু কম।.
করোনাকালে যত কাজ হয়েছে এখন স্বাভাবিক সময়ে তত কাজ নেই। রাজধানী বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম বারী জানান, ক্রেতারা কাপড় কিনে বিভিন্ন দর্জির দোকানে তাদের পছন্দের পোশাক বানাচ্ছে। এদিকে, কয়েকটি দর্জি কারখানাগুলোতে অতিরিক্ত কারিগর নিয়োগ করে রাত অবধি ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পোশাক তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক সরবরাহ করা যায়। কারিগরদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় মান সম্পন্ন পোশাক তৈরির জন্য অর্ডারীরা ছুঁটছেন শহরের বিভিন্ন মানসম্পন্ন টেইলার্সে।.
বিভিন্ন দর্জির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের অর্ডার নিতে ব্যস্ত। কেউ কেউ অর্ডার নিচ্ছেন, আবার অনেক দোকানে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারিগররা বলেন, তরুণ-তরুণীদের অর্ডার বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তারা তাদের পছন্দের কাপড় ও ডিজাইনে সেলাই অর্ডার দিচ্ছে। আনন্দ টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী আনন্দ চন্দ্র সরকার জানান, এবার সাধারণত রমজানের আগেই থেকে কাজের চাপ বেড়ে গেছে। ফলে অর্ডার কম নেয়া হয়েছে। ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে মজুরি নেয়া হচ্ছে।.
প্রিন্স টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী ধীরেন্দ্র নাথ ও লক্ষণ টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী লক্ষণ চন্দ্র রায় জানান, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক ফ্যাশন ডিজাইনের পোশাক বানানোর কারণে ক্রেতারা এখানে আসেন। ঈদে এবার বাড়তি চাপ থাকে। তবে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দর্জির দোকানে আসা কয়েকজন অর্ডারি জানান, কাপড়ের দাম বাড়লেও তবেমজুরি খুব একটা বাড়েনি।. .
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: