• ঢাকা
  • শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

কমলনগরে অভিযানে টেবিল ম্যানেজ করে চলছে মৎস্য আহরণ 


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:৫১ পিএম;
কমলনগরে অভিযানে টেবিল ম্যানেজ করে চলছে মৎস্য আহরণ 
কমলনগরে অভিযানে টেবিল ম্যানেজ করে চলছে মৎস্য আহরণ 

টানা দু’মাস নদীতে সকল ধরণের মাছ শিকার বন্ধ ঘোষণা করেন সরকার।  সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মৎস্য কর্মকর্তা মো.আব্দুল কুদ্দুসের যোগসাজশে ও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মাছ শিকার করছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার জেলেরা। এমনটায় বলছেন স্থানীয় জনগন।  .

তাদের দাবি নদীতে যে হারে নৌকা ও প্রতিদিন সকাল বেলায় মাছ কেনা-বেচা ও প্রাচার হচ্ছে। এতে মৎস্য কর্মকর্তার ইশারায় চলছে মাছ শিকার। তার মত ছাড়া কিভাবে নদীতে এত জেলে ও নৌকা চলে..?। নিশ্চয় তার মতে-ই নদীতে জেলেরা মাছ শিকার করতে যাচ্ছে।  সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মাতাব্বরহাট ও সাহেবের হাট এলাকায় নদীতে সকাল বেলায় মাছ বেচা-কেনার ধুম পড়ে। .

এতে শুনা যাচ্ছে ও প্রমানিত হচ্ছে মাছ শিকার থেমে নেই। তবে কিভাবে মাছ ধরা হচ্ছে এমন প্রশ্নে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর ভিন্ন পেক্ষাপট। মোটা অংকের টাকা দিয়ে জেলেরা নদীতে যাচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত টোকেন থাকলেই নদীতে মাছ ধরা যায়।  উপজেলায় মাছ শিকার বন্ধে মৎস্য কর্মকর্তার উল্লেখযোগ্য কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে। গত ১লা মার্চ থেকে টানা ২০ দিন নদীতে মাছ শিকার বন্ধ হলে নেই কোন অভিযান ও জেলে আটক বা জরিমানার নজির। .

সাংবাদিক বা অন্যকোন সচেতন ব্যাক্তি ফোন দিলে দ্বায়-সারা অভিযান দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন এমনটাও শুনা যায়।  মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, মাছ শিকার বন্ধ তার একার পক্ষে সম্ভব নয়। এখানে তিনি কোস্টাগার্ড বা নৌপুলিশকে দায়ী করেন। তিনি সরাসরি দ্বায়-সারা বক্তব্য দিয়ে কেঁটে পড়েন।  এব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে জানালে তিনি বলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলবেন।.

পরোক্ষণে উপজেলা মৎস্য কর্তমর্কা আব্দুল কুদ্দুস প্রতিবেদককে ফোন দিয়ে দেখা ও ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।  এদিকে উপজেলার প্রায় কয়টি বরফকল দিনরাত চালু রেখে মালিকরা বরফ তৈরি করছে বলে দেখা যায়।  প্রসঙ্গত, নদীতে মাছ ধরা (১লা মার্চ- এপ্রিল ৩০) টানা দু’মাস বন্ধ ঘোষনা করেন। এখানে নদীর মাছ আহরণ, মজুত রাখা ও হাট-বাজারে বেচা-কেনা বন্ধ করেন সরকার। সেখানে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পোয়ামাছ সহ নদীকেন্দ্রিক মাছ পাওয়া যাচ্ছে। কমলনগর উপজেলা কোস্ট গার্ড কমান্ডার মোকলেছুর রহমান কাছে মাছ ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা দিনের বেলায় টহল দিয়ে থাকেন কিন্তু রাতের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ছাড়া নদীতে যাওয়ার আদেশ নেই।.

.

ডে-নাইট-নিউজ /

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ