
স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের সাইনবোর্ড শান্তিধারা এলাকায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের প্রভাব ও নিজে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে এলাকায় অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষ ও ডেভলপার কোম্পানিদের সঙ্গে প্রতারণা ও জবর দখল করে বিভিন্ন জমি, মার্কেট ও দোকান দখলও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রাজ্জাক বেপারীর ও তার ছেলে শাহাবুদ্দিন এর বিরুদ্ধে। সরজমিনে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে একজন ভুক্তভোগী ঠাই প্রপার্টিজ লি: এর পরিচালক এস এম শামছুল আলম ও তার সহযোগীদের সাথে ঘটে যাওয়া অনিয়মের চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে বলেন বিগত ২৭-১০-২০১০ ইং তারিখে আব্দুর রাজ্জাক বেপারী তার জমিতে ১০ তলা ভবন নির্মাণের জন্য ১৫১৬০ নং একটি আম মোক্তারনামা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশন করেন। ঐ সময় তফসিলে বর্ণিত সম্পত্তিতে রাজ্জাক বেপারীর একটি প্রিন্টিং কারখানা ছিল যা সরাইয়া নেওয়ার জন্য সে ১০ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার পরেও তিনি চালকি করে ছয় মাস গড়িমসি করে। এবং ঐ ফ্যাক্টরি দিয়ে অতিরিক্ত আরো লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকামের পর ঠাই প্রপারটিজ পরিচালকদের চাপে পরে সরিয়ে নেন। কাজ শুরু করা হলে চুক্তি সম্পাদনের সময় রাজ্জাক বেপারী অপ-কৌশলে ১০ তলা ফাউন্ডেশন এর স্থলে জোর করে ১৪ তলা ফাউন্ডেশন এর কথা লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ঠাই প্রপার্টিজ আব্দুর রাজ্জাক বেপারির বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ করেন চুক্তি ও আম মোক্তারনামা রেজিস্ট্রেশন হওয়ার সময় মূল কাগজপত্র রাজ্জাক বেপারী আটকে রাখে এবং মূল কাগজ চাইতে গেলে দোকান বিক্রি প্রতি ১ লক্ষ টাকা করে অতিরিক্ত হারে তাকে দিতে হবে আর সেই টাকা তিনি ব্লাকমেইল ও ভয় ভীতি দেখিয়ে চাঁদা হিসেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু ঐ টাকা নেওয়ার পর ও তিনি চুক্তি নামা ও আম মোক্তারনামার মূল কাগজপত্র আর ফেরত দিতেন না। পাশাপাশি চিহ্নিত ভূমি দস্যু, চাঁদাবাজ আব্দুর রাজ্জাক বেপারী ঠাই প্রপারটিজ লি: এর পরিচালক দের কে ভয় ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি ধামকি দিয়ে আগে তার অংশের কাজ করিয়ে নেন। কিন্তু পরবর্তীতে ঠাই প্রোপারটিজ লি: এর মার্কেটের অসম্পূর্ণ দোকানের কাজ করতে গেলে আব্দুর রাজ্জাক বেপারী দোকান প্রতি পুনরায় দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঐ সময় ফতুল্লা মডেল থানায় দোকান মালিক সমিতি ও দোকানদার মিলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। পাশাপাপাশি চতুর্থ তলা সম্পূর্ণ করে ৫ম তলার ছাদ দেয়ার পর থেকে আব্দুর রাজ্জাক বেপারীর কারনে ঠাই প্রপার্টিজ এর লোক জন বিগত ১২/১৩ বছর যাবত প্রজেক্টে ঢুকতে পারে নাই। সেই সময় সাইটে থাকা অফিস দখল সহ ক্যাশ ড্রয়েরে থাকা এম ডির স্বাক্ষরিত চেক বই, ক্যাশ বই, অফিসিয়াল কাগজপত্র সহ নিমা’ন সামগ্রী হিসাবে আনা ২২/২৫ টন রড, সিমেন্ট এবং অনেক মুল্যবান সামগ্রী সরিয়ে নেন। পরবর্তীতে তৃতীয় তলায় তিনটি ফ্ল্যাট নিজে বিক্রি করে সেই টাকা থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা কোম্পানির একাউন্টে জমা না দিয়া কাল- ক্ষেপনের পর নিজেই আত্বসাৎ করে নেয়। এর কয়েক বছর পর কোম্পানির কাউকে না জানিয়ে ফতুল্লা ভূইঘর শাখা আই এফ আই সি ব্যাংক থেকে জাল দলিলের মাধ্যমে বাড়ি ও মার্কেট বন্ধক রেখে লোন উঠান। এবং সর্বশেষ ভূমি দস্যু আব্দুর রাজ্জাক বেপারী ঠাই প্রপাটির দোকান পাট দক্ষল করে হুমকি দামকি দিয়ে বের করে দেয়। এই বিষয়ে পূর্বে ঐ সময় ঠাই প্রপারটিজ ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও তখন তারা কোন প্রতিকার পাই নি। ভুক্তভোগী ঠাই প্রপারর্টি প্রষ্ঠানটির পরিচালক রা বলেন যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যায়ের বাংলাদেশ। আর তাই বছরের পর বছর আমরা ঠাই প্রপার্টিজ লি: সহ ক্রয় কৃত দোকান মালিক যে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ আব্দুর রাজ্জাক বেপারীর দ্বারায় জুলুম অন্যায় অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছি এর প্রতিকার হিসেবে এখন আমরা আমাদের দোকান ও ফ্ল্যাট ফেরত চাই। .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফতুল্লা কুতুবপুর শান্তিধারার এলাকাবাসী বলেন তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ভয়ে কিছু বলার সাহস পেতে না। তার সকল অন্যায় তারা মুখ বুজে সহ্য করে নিতেন। সর্বশেষ ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন জুলাইও আগষ্ট ২০২৪ ইং এর আন্দোলনে সাবেক এমপি শামীম ওসমানের ছাত্রদের ওপরে যে গুলি করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক বেশ কিছু এলাকাবাসী ধারনা করে বলেন, সেই ভিডিওর মিছিলে নাকি শামীম ওসমানের আশে-পাশেই আব্দুর রাজ্জাক বেপারীর ছেলে শাহাবুদ্দিন ও হয়তো থাকতে পারেন। পরিশেষে এলাকাবাসী আরো বলেন তার মত চিহ্নিত ভূমিদস্য চাঁদাবাজ হাজী আব্দুর রাজ্জাক বেপারী যেন পুনরায় আর কখনো সাইনবোর্ড শান্তিধারা এলাকায় সাধারণ মানুষের জমি দখল, মার্কেট দখল, চাঁদাবাজি করতে না পারে এবং সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতি দেখাতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ আন্তরিক সহযোগিতা এবং দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। থানায় অভিযোগ সহ ভুক্তভোগী ঠাই প্রপাটিজের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পএ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষণে রয়েছে। . .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: