বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: প্রায় ২ বছর ধরে ইউপি মেম্বার লন্ডনে থাকায় ওয়ার্ড বাসী সেবা বঞ্ছিত। নির্বাচনের পর ইউনিয়ন পরিষদের সময় গড়িয়েছে প্রায় আড়াই বছর। ২০২২ সালের ২১ মার্চ ৬ষ্ঠ ধাপে নির্বাচনে জেতার পর সাত মাসের মত পরিষদের কাজ করে ওয়ার্ড মেম্বার পাড়ি জমান লন্ডনে । এর মধ্যে একবার ছুটি নিলেও আর দেশে ফিরে আসেননি। পরে আর ছুটি নেই, নেই বাহিরে থাকার অনুমোদনও। সরকারি বিধি মোতাবেক ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকলে বা ছুটি না নিলে পদটি শুন্য বলে গন্য হয় এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক উপনির্বাচনের মাধ্যমে শুন্য পদে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে দুইবছর পার হলেও এই শুন্য পদে কোন নির্বাচনের আয়োজন করেনি নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘদিন মেম্বার শুন্য থাকায় সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার দিয়ে কাজ চলে কিন্তু সব কাজ কি আর হয় এমন বিস্তর অভিযোগ করেছেন ওয়ার্ডের একাধিক বাসিন্দা। .
.
.
.
.
.
.
.
বিগত ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারী ৬ষ্ঠ ধাপে স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে দুই প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডে ২১ মার্চ ২০২২ ইং সোমবার পুনঃর্নিবাচন অনুষ্ঠিত হয়।.
.
.
.
.
.
.
৬ষ্ঠ ধাপে অনু্ষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উক্ত ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী ফখরুল ইসলাম তালা প্রতীকে ও আবুল কালাম বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে সমান সংখ্যক (৪৫৫টি করে) ভোট পেয়ে অন্যান্য প্রার্থীদের থেকে এগিয়ে থাকায় শুধুমাত্র তাদের নিয়ে এ ওয়ার্ডে পুনরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় এবং পুন:নির্বাচনে ফখরুল ইসলাম বিজয়ী হন। অনেক জল্পনা কল্পনার পর ফখরুল ইসলাম মেম্বার হওয়ার কিছুদিন পরে তিনি লন্ডন চলে যান। দীর্ঘদিন তিনি দেশে ফিরে না আসায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঐ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ফখরুল ইসলামের না ফেরা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলেও কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি উপজেলা প্রশাসন। এই ওয়ার্ডে কবে হবে ? কি-বা আদৌ কি উপনির্চান হবে না কারো কাছে কোন সদত্তোর পাওয়া যায়নি।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
এব্যাপারে খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বিষ্ণুপদ চৌধুরী জানান ফখরুল ইসলাম মেম্বার ছয়-সাত মাস পর লন্ডনে চলে যান এবং একবারই তিনি ছুটি নিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত তিনি আর আসেননি। বিষয়টি আমরা উপজেলা প্রশাসন (ইউএনও) কে লিখিত ভাবে জানিয়েছি কিন্তু এর পর আর কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি নির্বাচন কমিশন ও উপজেলা প্রশাসন।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
এ নিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বর্ণালী চক্রবর্তী জানিয়েছেন উক্ত ওয়ার্ডে উপনির্বাচনের কোন আদেশ এখনও পাওয়া যায়নি । বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভাল বলতে পারবেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। চলমান পরিস্থিতে তাকে অফিসে পাওয়া যায় না। মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: