আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের হাবাশপুর শেখেরগাড়াী গ্রামে ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে দশ হাজার টাকায় রফা করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ওলিয়ার রহমান মামলা না করতে দিয়ে ধর্ষনকান্ড সামাজিক ভাবে মিটিয়ে ফেলার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় ধর্শিনা ওই নারী ক্ষোভ ও অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ। ধর্ষিতার ফুপু মালেকা বেগম জানান, শুক্রবার বাড়িতে একা ছিল মেয়িটি। এই সুযোগে একই গ্রামের আলীজানের ছেলে কলেজ ছাত্র মোঃ জহির আহম্মেদ বিবাহিত ওই নারীকে গোয়াল ঘরে নিয়ে জোর পুর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষনের পর মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে ধর্ষিতার চাচাতো ভাই ইউপি সদস্য ওলিয়ার রহমান গত শুক্রবার রাতে দশ হাজার টাকা দিয়ে ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করে। কিন্তু ধ*র্ষ*নের বিচারের নামে দশ হাজার টাকায় রফাদফা করায় লোকলজ্জায় ধর্ষিতা গতকাল শনিবার সকালে গলায় রশি দিয়ে ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মহেশপুর ও পরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ওলিয়ার রহমান জানান, আমি এলাকায় নেই। অফিসের কাজে ঢাকায় আছি। ধর্ষন মামলা ধামাচাপা দেবার যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছে তা সত্য নয়। মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) ইসমাইল হোসেন জানান, ধর্ষনের ঘটনা নিয়ে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: