সময়ের পরিক্রমায় অনলাইন, অফলাইন দু জায়গাতেই বেড়েছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। যারা কাজ করে যাচ্ছে মানবিকতার জন্যে। এমনই এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কায়রা ফাউন্ডেশন। ২০১৭ সালের ১৭ জুন থেকে যাত্রা শুরু এই ফাউন্ডেশনের।.
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, কো-অর্ডিনেটর, হেড কো-অর্ডিনেটর, বিভাগ ও জেলা সমন্বয়কের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে দেশব্যাপী ১০টি ইউনিট নিয়ে নানান সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করছেন ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা।.
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের অর্থায়নে বিভিন্ন ইভেন্ট পরিচালনা করছে সংগঠনটি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় শুভানুধ্যায়ীদের থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করা হয়।.
প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় গাছ লাগানোর কর্মসূচি পালন করে কায়রা ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন মাদ্রাসায় অর্থায়নসহ ‘ভোজনে এক বেলা’ নিয়মিত কার্যক্রম। সম্প্রতি মাদ্রাসায় কার্পেট বিতরণ, এক এতিম অসহায় ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থাকরণ ছিল উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম।.
প্রতিবছর শীতে বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ায় কায়রা ফাউন্ডেশন। ‘সবার জন্য উষ্ণতা-২৪’ আয়োজনের মাধ্যমে দেশের উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের সকল অসহায় শীতার্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় শীত বস্ত্র। সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় শীত বস্ত্র বিতণের মাধ্যমে এবারের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ করে।.
যখন বানের পানিতে ভাসছিল দেশের একাংশের মানুষজন, তখনও থেমে থাকে নি এই স্বেচ্ছাসেবীরা। বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য ছুটে গেছে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। এছসাড়াও দুই ঈদে সংগঠনের পক্ষ থেকে অভাবগ্রস্থ মানুষ যেন আনন্দময় ঈদ কাটাতে পারে তার চেষ্টা করে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ফান্ড পাশে দাঁড়িয়েছে অনেক গরিব, মেধাবী শিক্ষার্থীর।.
কায়রা ফাউন্ডেশনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্য মো. সায়েম সরকার ফাহিম ফাউন্ডেশন সম্পর্কে বলেন, তরুণ সমাজ চাইলেই দেশকে উপহার দিতে পারে অনেককিছু, তবে একা তরুণ যেটা করতে পাঁচ দিন সময় লাগাবে সেটা একত্রিত তরুণ সমাজ খুব সহজেই এক দিনে করে ফেলতে পারবে, সেজন্যেই দেশে এসব সংগঠনের প্রয়োজন রয়েছে। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে কায়রা ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে প্রথম কাজ করেছি ৬ই এপ্রিল, ২০২৩ সালে। কাজের স্মৃতিচারণ করে তিনি যোগ করেন, ফাউন্ডেশনের হেড কো-অর্ডিনেটরের তত্ত্বাবধানে আমরা ৯ সদস্যদের একটি টিম ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ ইফতার বিতরণ করি। ইভেন্ট চলাকালীন একজন বৃদ্ধকে যখন ইফতারের প্যাকেট দিচ্ছিলাম তখন উনি একটি কথা বলেছিলেন, “আল্লাহ আপনের ভালা করুক, দাদা। আল্লায় আমারে এক বোতল পানি খাওয়ায়া রোজা রাখাইছে ঠিকই কিন্তু ইফতারের লাইগ্যা খুব সুন্দর ব্যবস্থা কইরা দিছেন। আলহামদুলিল্লাহ।”.
সেবা, স্বপ্ন ও নির্ভীকতার আর্তমানবতায় এভাবেই পাশে দাঁড়াচ্ছে কায়রা ফাউন্ডেশন।. .
ডে-নাইট-নিউজ / তানজিদ শুভ্র:
আপনার মতামত লিখুন: