কক্সবাজারের রামুতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভৌতিক বিল, বিদ্যুৎ সংযোগের নামে অর্থ আদায়, বারবার মিটার পরিবর্তন করে গ্রাহকদের হয়রানি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন কর্মকর্তা,কর্মচারী। .
সরাসরি খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,পুরনো গ্রাহকরা অভিযোগ করেন,এমন নিম্নমানের মিটার সরবরাহ করা হয়েছে,যা বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন থাকলেও মিটারটি সচল থাকে এবং প্রতিমাসে মিটারের বিপরীতে মাসিক বিল গ্রাহকদের নামে আসে। এছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একটি খুঁটির জন্য ৫০,থেকে ৬০,হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে। .
রামু উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের গ্রাহকদের সামান্য বকেয়া বিলের জন্য বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা,নতুন মিটারের আবেদন করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতিরিক্ত ঘুষ দিতে সমস্যার সমাধান করতে হয় বলে জোয়ারিয়ানালা গ্রামের জুলফিকার ও জিবু,সাইফুল ইসলাম,মিজানুর রহমান,এবং একই ইউনিয়নের সুলতান আহমদ এর স্ত্রী ফরিদা বেগম অভিযোগ করেন।.
এইদিকে ইলেকট্রিশিয়ান জুলফিকার দাবি করেন আমি রামু অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মন্নানের সাথে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল তাই আমার কাছ থেকে ফ্যামিলিগত সমস্যা দেখিয়ে ১, লক্ষ ২৭, হাজার নেন, যাহা প্রমাণ হিসেবে ৪০,হাজার টাকার চেক আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছ, কিন্তু আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি আমার সাথে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখান আর লোকজন দিয়ে মারধর করার হুমকি দেন, এবং আমার বিরুদ্ধে কক্সবাজার অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন।.
এ বিষয়ে রামু অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মান্নান এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন যেসব গ্রাহকরা অভিযোগ করেন,তাদের কাছে আমি টাকা নিয়েছি এরকম কোন ডকুমেন্টস আছে কিনা, এসব আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে, তাই এ অসাধু চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ইলেকট্রিশিয়ান নামের দালাল চক্র, তবে রামু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আমিসহ কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন আমার হেড অফিস। অথচ রামু এরিয়া অফিস এবং এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে জোয়ারিয়ানালা এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অভিযোগকারী ফরিদা বেগমের আবেদনপত্রটিও অফিসে জমা নেই। .
অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের ব্যাপারে কক্সবাজার অফিসের জিএম আক্তারুজ্জামান লস্করের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং এর জন্য ৪,থেকে ৫ জন অফিসার ঐ সব এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে দেখছেন, আর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নামে কেউ কোনো অর্থ দাবি করলে তা না দেয়ার জন্য এবং গ্রাহকদের সব সমস্যার বিষয়ে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে এসে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। অর্থ আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার অফিসের কেউ জড়িত আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে কোনো গ্রাহক লিখিতভাবে অভিযোগ করে নাই, সুতরাং কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।আর অফিসের বাইরের কেউ জড়িত থাকলে তাকে যথাযথ আইনের আওতায় আনা হবে। . .
ডে-নাইট-নিউজ / কায়সার কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপনার মতামত লিখুন: