লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ইউএনও আরিফুর রহমান কে হেনস্তা করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি, এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু'র বিরুদ্ধে। .
.
.
.
.
.
.
.
সাবেক সৈরশাসকের একনিষ্ট লোক, লক্ষ্মীপুরের কুখ্যাত মেয়র এম এ তাহের এর ছেলে এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু তিন বারের উপজেলা চেয়ারম্যান । তিনি কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করত না। উপজেলা রাজস্ব থেকে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্প, টি আর , কাবিখা, কাবিটা থেকে নেয়া প্রকল্প সহ উপজেলায় লুটপাট করাই ছিল তার প্রধান কাজ। প্রকল্প বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিল তুলাই ছিল তার একমাত্র নেশা। তাছাড়া সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোশারফ হোসেন দীর্ঘ সাত বছর একই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করায় তার সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান খুনি ও মাফিয়া টিপুর আলাদা সখ্যতা তৈরি হয়। ইউএনও আরিফুর রহমান যোগদান করার পর এসব লুটপাট বন্ধ করে দেন।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
টি আর কাবিখা সহ সকল কাজ বাস্তবায়ন না করে তিনি কখনো বিল পরিশোধ করতেন না। তখন উপজেলা নির্বাচন সামনে থাকায় টিপুর লুটপাট বন্ধ করে দিলেও ইউএনওকে কিছু বলেননি। পরবর্তীতে সে ২৯ মে তারিখ তৃতীয়বারের মত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং জুন এর ৪ তারিখ থেকে ইউএনওর উপর চড়াও হন। তিনি ইউএনওকে বলেন আমি আর আগের উপজেলা চেয়ারম্যান নই, এতদিন নির্বাচন সামনে থাকায় আপনাকে কিছু বলিনি। এখন আমি যা বলব তাই হবে। তারপর তিনি ইউএনওকে নির্দেশ দেন প্রকল্প নিতে এবং আরও জানান প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে না, কিন্তু বিল দিয়ে দিতে হবে। ইউএনও তাতে রাজি হয়নি। তিনি ইউএনওর উপর চাপ তৈরি করতে থাকেন। তখন ইউএনও তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন। .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
কোনভাবেই ইউএনওকে ভাগে আনতে না পেরে সে তখন ষড়যন্ত্র করতে থাকে। একপর্যায়ে সে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার কথা বলে একবেলা ভাত খেতে চান এ কথা বলে সে তার দলীয় কর্মী দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দাওয়াত দেন। সে ছিল মাফিয়া, তার ভয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তো দুরে থাক, লক্ষ্মীপুরের কাকপক্ষীও ভয়ে কখনো মুখ খুলতে সাহস পেত না। পরবর্তীতে এ দাওয়াতকেই ভিন্ন নাম দিয়ে তিনি নিউজ করান। নিউজ এর সত্যতা না থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যানরা টিপুর ভয়ে এ নিয়ে কোন টু শব্দ করার সাহস পাননি।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
গত ৪আগস্ট সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে খুনি টিপুর গুলিতে চারজন ছাত্র নিহত হয়। পরে উত্তেজিত জনতা টিপুর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। সে এখন দেশ ছেড়ে পলাতক রয়েছে। ইতি মধ্যে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা হয়েছে।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
এবিষয়ে লক্ষীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান (ইউএনও) বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু সম্প্রতি সরকার পতনের আগে অফিসে এসে আমাকে বিভিন্ন হুমকি দেয়। তিনি প্রকল্প দিবেন। কিন্তু কাজ কি হলো না হলো সেটা যেন আমি না দেখি। সে আরও বলেন আমি এখন আর আগের টিপু নাই। নির্বাচন করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এ টাকা তুলতে হবে। আমি এতে রাজি না হওয়ায় আমাকে নানাভাবে হেনস্থা ও মিথ্যা অভিযোগে জর্জরিত করেছিলেন চেয়ারম্যান টিপু।.
.
.
. .
ডে-নাইট-নিউজ / আব্দুল মালেক নিরব
আপনার মতামত লিখুন: