মিজানুর রহমান মিজান : আমাদের সিলেট জেলাকে আখ্যায়িত করা হয়েছে দ্বিতীয় লন্ডন বলে।সত্যিই উনিশ শতকের ষাটের দশকে লন্ডন প্রবাসীরা দেশে আসলে টেইপ আনতেন সঙ্গে করে।আমার দেখা প্রথম টেইপ হল,এক লন্ডন প্রবাসী আত্মীয় নিয়ে আসেন টেইপ একদিন বেড়াতে এসে।তখন টেইপ এ ধরণের বা ডিজাইনের ছিলো না।এই টেইপে ক্যাসেট থাকে নিরাপদে টেইপের সাথে সংযুক্ত বক্সে।কিন্তু প্রথম দেখা টেইপ ছিলো টেইপের উপরি ভাগে এবং ক্যাসেটের এক প্রান্তে ফিতা থাকতো চাকতিতে ভর্তি এবং অপর প্রান্তে থাকতো খালি বা শুন্য চাকতি।এক চাকতি থেকে অপর চাকতিতে ফিতা যেত টেইপ চালু করলে গান গেয়ে।একটি ফিতা শেষ হয়ে গেলে অপর ফিতা দিতেন লাগিয়ে।এ ধরণের টেইপ উন্নত হয়ে কিছুদিন পরই এলো এ জাতীয় টেইপ।প্রথম দিকে কেহ টেইপ বাজালে গ্রামের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার ভীড় লেগে যেত গান শুনতে বা টেইপ নামক যন্ত্রটি দেখতে এক নজর।অত:পর ধীরে ধীরে তার কদর কমতে থাকে।ঘরে ঘরে টেইপের স্থান পাওয়াতে।অনেকে দুর-দুরান্তে আত্মীয় বাড়ি যেতেন সঙ্গে নিয়ে টেইপ।রাস্তায় যেতেন তা বাজিয়ে।নুতন নুতন গান রাখতেন টেইপের মালিক।শব্দ আর ছন্দের দোলায় মানুষ হতেন তম্ময়।সুরের ঝংকারে মানুষ হতেন বিহব্বল।.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: