গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার টিকাটুলিস্থ শ্রীশ্রীভোলানন্দগিরি আশ্রমে আমরা সনাতনী ৯৫ এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।.
আমরা সনাতনী ৯৫ প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক নেপাল চন্দ্র সাহা এর সভাপতিত্বে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। আমরা সনাতনী ৯৫ প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্বামী শান্তিকরানন্দ মহারাজ সহ সম্পাদক রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা এবং প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দেবদাস ভট্টাচার্য্য, অতিরিক্ত আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশ। আশীর্বাদক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ কান্তি বন্ধু ব্রহ্মচারী সভাপতি মহানাম সম্প্রদায় বাংলাদেশ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ননীগোপাল মজুমদার বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক এবং শ্রীশ্রীস্বামীভোলানন্দগিরি আশ্রম ট্রাস্টের সম্পাদক ও ট্রাস্টি।.
আমরা সনাতনী ৯৫ প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শুরুতে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। প্রথমেই শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণপূজা, পুষ্পাঞ্জলি প্রদান ও সমবেতভাবে শ্রীশ্রীহরিনাম সংকীর্তন ও প্রসাদ বিতরণ হয়। সকালের প্রথম পর্বে ছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সনাতনী বন্ধুদের পরিচয় প্রদান । সবাই নিজ নিজ জেলা নাম বলে পরিচয় প্রদান করে।.
পরিচয় প্রদান শেষে বৈদিক স্তোত্র পাঠ করে কুমিল্লার বন্ধু সঞ্জয় চক্রবর্তী, শ্রীশ্রীচণ্ডী থেকে পাঠ করে ঢাকার বন্ধু পুত্র অনিন্দ্যমোহন ঋদ্ধি, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা থেকে পাঠ নবীগঞ্জের বন্ধু উত্তম কুমার পাল হিমেল।.
স্বাগত বক্তব্য রাখে আমরা সনাতনী ৯৫ প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব গৌরমোহন দাস, সংগঠনের পক্ষে মুখবন্ধমূলক বক্তব্য রাখে চট্টগ্রামের বন্ধু ও আমরা সনাতনী ৯৫ আত্মপ্রকাশ উদযাপন পরিষদ-২০২২ এর সদস্য সচিব পঙ্কজ বিশ্বাস ও আহ্বায়ক এবং সিলেটের বন্ধু শ্রী রজত চক্রবর্তী। আমরা সনাতনী ৯৫ এর প্রয়াত বন্ধুদের আত্মার শান্তি ও মোক্ষ কামনায় শোক ও সমবেদনা বার্তা পাঠ করে চাদপুরের বন্ধু কার্তিক সরকার।.
আমরা সনাতনী ৯৫ প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন পরিষদের কোষাধ্যক্ষ লিটন পাল লিটু অনুষ্ঠানের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা সহকারে তুলে ধরেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনার জন্য প্রশান্ত দাস কথা ও ঢাকার বন্ধু দীপিকা রমা নাথকে নির্দেশনা প্রদান করেন।.
অর্থ সম্পাদক কুমিল্লার বন্ধু লিটন পাল লিটুর সহধর্মিণী নিপা বর্ধন গানে মুগ্ধতা ছড়ায় সকল বন্ধুদের মাঝে। এরপর আমরা সনাতনী ৯৫ বন্ধু ও বন্ধুদের ছেলে মেয়েদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কৃতী শিক্ষার্থীদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।.
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলে এখন সময় এসেছে এক হয়ে কাঁধেঁ কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার। একটি দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সেই দেশের সংস্কৃতিকে লালন করতে হবে। ছোট থেকে ধর্মীয় শিক্ষায় বড় হলে তার ভিতরে অপরাধ প্রবনতা কমে যায়। আস্তে আস্তে সে হয়ে ওঠে আর্দশ মানুষ। সনাতণ ধর্ম নিয়ে প্রধান অতিথি বলেন আমাদের সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষায় বড় করতে হবে। এধরণের আয়োজন মাঝে মধ্যেই হওয়া উচিৎ নিজেদের সুখ দুঃখ ভাগাভাগী করে নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। ধর্মীয় নিয়মে মিলন মেলা আয়োজন করায় সকল কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আগামীতে আমরা সনাতনী ৯৫ কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেই বিষয় আলোচনা করা হয়। আলোচনার এপর্যায়ে লিটন পাল লিটু বলেন আমাদের সংগঠনকে আর্থিক ভাবেও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে, যে সংগঠন টিকে থাকবে যুগযুগান্তর। আলোচনার শেষে আমরা সনাতনী ৯৫ প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক নেপাল চন্দ্র সাহা আগত সকল বন্ধুদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং যারা যুক্ত হতে পারে নাই আগামীতে তারা যুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি সকলের কাছে ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি দিয়ে দেখেতে অনুরোধ করেন। সবশেষে আগামীতে আমরা সনাতনী ৯৫গ্রুপের সকল বন্ধুরা এক সাথে পথ চলার শপথ গ্রহণ করে। সমগ্র অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন প্রশান্ত দাস কথা ।.
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: