এতে মঙ্গলবার (২১-জুন) বেলা ৩টায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২.৬০) ২৪ সেন্টিমিটার উপর (৫২.৮৪) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। তবে গতকাল সোমবার (২০-জুন) সন্ধ্যা ৬টায় এই পয়েন্টে তিস্তার বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ৭সেন্টিমিটার পানি কমলেও ওইসব পানি পুনরায় বৃদ্ধি পেতে থাকায় তিস্তা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতি স্বাভা্বিক হতে পারছেনা বলে জানান নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা ।.
সুত্র মতে উজানের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতে তিস্তা ব্যারেজের গজলডোবা অংশের গেট খুলে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ফলে বাংলাদেশের অংশের তিস্তার ঢল প্রবেশ করে বন্যার সৃস্টি করেছে। সে কারণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তার পানি প্রচন্ডগতিতে ভাটিঅঞ্চলে চলে যাচ্ছে। এতে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলবে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা। উজানের পাহাড় ও ভুটানে প্রবল অতিভারী বৃস্টির কারনে তিস্তানদীর বন্যা ভয়াবহতার রূপ নিয়েছে। এ ছাড়া নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা এলাকায় তিস্তা নদীর পানি ডানতীর প্রধান বাধ ঘেঁষে প্রবাহিত হওয়ায় এই বাঁধও হুমকীর মুখে পড়েছে।.
নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে তিস্তার ডানতীর সহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমুহ হলো ডিমলা উপজেলার পশ্চিমছাতনাই, পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছচাঁপানী এবং জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা,শৌলমারী ও কৈমারী । বন্যায় কাষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো ডানতীর বাধে আশ্রয় নিয়েছে।.
ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজের পানি পরিমাপক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। মঙ্গলবার তা সকাল ৬ ও ৯টার দিকে ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমা বরাবরে নেমে আসলেও বেলা ৩টায় বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / জাহাঙ্গীর রেজা, ডিমলা নীলফামারী:
আপনার মতামত লিখুন: