কমলনগরে প্রবাসীকে পিটিয়ে জখম, উল্টো মিথ্যা মামলা হয়রানি করেন
ডে-নাইট-নিউজ ;
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:০২ পিএম; কমলনগরে প্রবাসীকে পিটিয়ে জখম, উল্টো মিথ্যা মামলা হয়রানি করেন
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মমিন উল্লাহ নামের এক সৌদি প্রবাসীকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার করুনানগর এলাকার চরজাঙ্গালিয়া এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মমিনের ভাই শরীফুল ইসলাম ২৬ই জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল-কমলনগর এর আদালতে মামলা করলে আসামি পক্ষ উল্টো তাদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ এনে কমলনগর থানায় মিথ্যা মামলা করেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী রামগতি উপজেলার বালুরচর এলাকার মনির হাওলাদের ছেলে সাইফুদ্দিন সৌদি প্রবাসী মমিন উল্লাহর বোনকে নিয়ে বিভিন্ন সময় কটুক্তি এবং যৌন হয়রানি করতো। এ নিয়ে তাদের সাথে সাইফুদ্দিনের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে ১৮ই জানুয়ারি পাটারিরহাট ইউনিয়নের সিদ্দিক মাস্টারের বাড়িতে একটি সালিশ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে আসামি পক্ষ সালিশদারদের উপস্থিতি ক্ষমা চায়। পরে ২৩ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে প্রবাসী মমিন উল্লাহ তার বন্ধু ফরহাদ হোসেনের সাথে মোটরসাইকেলযোগে করুনানগর বাজার করতে যাওয়ার পথে চরজাঙ্গালিয়া এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে সাইফুদ্দিন ও তার ভাই নিজাম উদ্দিন নেতৃত্বে বালুরচর এলাকার ফারুকের ছেলে মো: লিমন (২৮), মোঃ সিমন (২৫) ও ফিরোজ সর্দারের ছেলে রায়হান (২৪) তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মমিন ও তার বন্ধু ফরহাদকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে চরজাঙ্গালিয়া এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌদি প্রবাসী মমিন উল্লাহ বলেন, আমার বোনকে সাইফুদ্দিন বিভিন্ন সময় কটুক্তি করতো। আমরা সমাজিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছি। কিন্তু ওরা সামাজিকভাবে হেয় হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর আক্রমণ করে। উল্টো তার বোনকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। আমি এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার চাই।
এদিকে সাইফুদ্দিনের বোন মামলার বাদি রোজিনা আক্তার বলেন, আমার ভাই সাইফুদ্দিনের সামান্য মানুষিক সমস্যা আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সামাজিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছি। ওরা কারো কথা না শুনে আালতে মামলা করে দেয়। বাধ্য হয়ে আমরা থানায় মামলা করেছি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দু'টি মামলাই তদন্ত চলছে।তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.
ডে-নাইট-নিউজ / মোঃ নুর হোসেন,কমলনগর
অপরাধ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ
আপনার মতামত লিখুন: