
প্রতিবছরই কোরবানির পশুর চামড়া ব্যাবস্থাপনায় ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। ২০১৯ সালের এক জরিপমতে, কোরবানির গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় এক কোটি আঠারো লক্ষ যা ২০২১ সালে এসে আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোরবানির পশুর চামড়া, দেশের চামড়া শিল্পে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে৷ কিন্তু, চামড়া প্রক্রিয়াকরণ ও সঠিক তদারকির অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে হাজারো কোরবানির চামড়া।.
কখনো বা পাচার হয়ে যাচ্ছে অন্য দেশে। ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে গরীবরা হারাচ্ছে তাদের প্রাপ্য অর্থ৷ যেখানে, সঠিক ভাবে তদারকি করতে পারলে চামড়ার বাজার চাঙা হতে পারে, বিদেশে রপ্তানি বাড়তে পারে কয়েকগুণ, সেখানে শুধু কিছু প্রয়োজনীয় উদ্যেগের অভাবেই লাভের বদলে লোকসান গুণতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে৷ .
একদিনে যেহেতু প্রচুর চামড়া জমে যায়,তার প্রক্রিয়াকরণ কষ্টসাধ্য ই বটে৷ এক্ষেত্রে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে কারখানার লোকবল বর্ধিতকরণ, লবণের আগাম যোগান রাখা ও পর্যাপ্ত ট্রাকের সমাগম রাখা উচিত৷ তবে একইদিনে এত পরিবহন সম্ভব নয় উপরন্তু চামড়া খুব বেশি সময় টিকে না, পঁচে যায় শীঘ্রই। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে, উপজেলা পর্যায়ে ক্ষণস্থায়ী সংরক্ষণাগার গড়ে তোলা যেতে পারে৷ এই অল্প কয়েকটি পদক্ষেপ ই আমাদের চামড়াকে পূর্ণ লাভজনক ও বৈদেশিক রপ্তানি আয়ের উপযোগী করে তুলতে পারে৷ . .
ডে-নাইট-নিউজ / আসিফ আলম চট্টগ্রাম
কপিরাইট © 2015-2025 Dnnbd.com, ডে-নাইট গ্রুপের একটি অংঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
Design & Developed by ICT Sky Ltd.
আপনার মতামত লিখুন: