.
স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর পূবাইল নয়ানী পাড়া ৪১ নং ওয়ার্ডের পূবাইলে থানাধীন এলাকায় একটি চিহ্নিত ভূমি দস্যু চক্র সাংবাদিকের জমি দখলের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জমির মালিক ভুক্তভোগী সাংবাদিক সূর্য আহমেদ পুবাইল থানায় পূর্বেই একটি সাধারণ ডায়েরি (নং৪২৮) করেছিলেন। পূবাইলে মাইলষ্টোন কলেজের জমি কেনা-বেচার চতুর চালক চিহ্নিত ভূমি দস্যু মেজবা উদ্দিন মোল্লা, আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির, নিরাঞ্জন সহ তাদের অজ্ঞাত সহযোগীদের নামে।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
সরজমিন ঘুরে দেখা যায় সাংবাদিক সূর্য আহমেদ এর জমির উপর চিহ্নিত ভূমিদস্য মেজবাহ উদ্দিন মোল্লার সহ তার সহযোগীরা মিলে এবং মাইলস্টোন কলেজের নুরুন নবী সাহেবের যে গরুর ফার্ম রয়েছে সেই ফার্মের জন্য একটি রাস্তা তৈরি করেছে জমির উপর দিয়ে। এবং একটি সেডও তুলেছে পাশাপাশি সেই খামারের ময়লা ফেলে জমিটি অবৈধভাবে দক্ষল করার একটি পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক সূর্য আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন , লোভী প্রতারক অত্যন্ত চালক চতুর আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির, অসাধু জমির দালাল ভূমি দস্যু মেজবা উদ্দিন মোল্লা ও জাল দলিল লেখক নিরঞ্জন তাদের মূলত কাজই হচ্ছে জাল ও ভুয়া দলিল তৈরি করে অসহায় মানুষদেরে জমি দখল করা।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
তারা সবাই মূলত সিন্ডিকেট গ্রুপ। তাদের নামে আমার পিতা মৃত তারাজ উদ্দিন পূর্বে ও জয়দেবপুর থানাও জিডি করে যার জিডি নং - ১৬২৫। আমার পিতা মৃত : তারাজ উদ্দিন এর পৈত্রিক সম্পদ আর এস ১১৮২ দাগে ৩০ শতাংশ জমি হতে আমার পিতা ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে সাড়ে বারো শতাংশ জমি খারিজ করে যার জোত নং- হচ্ছে ৩৩৪৬ এরপর আমাকে ও আমার ছোট ভাই রিপন কে ৫ শতাংশ লিখে দেয়। আমাদের দলিল নং ১৫৯৯৩ যার খারিজ ও খাজনা পরবর্তীতে পরিশোধ করি এবং জোত নং - ৩৫৫২। কিন্তু জাল দলিল লেখক নিরঞ্জন মোটা অংকের টাকা খেয়ে চালক চতুর আলহাজ্ব হুমায়ুন কবিরের ফটোকপি জাল দলিল নং ১১০৯২ হতে আমার সম্পূর্ণ আলাদা জোত সম্পত্তি আরএস ১১৮২ দাগের উপর ভূমি দস্যু মেজোকে একটি পাওয়ার ১৫৬ নং জাল ও ভুয়া দলিল তৈরি করে দেয়। উল্লেখ্য যে বায়া ১১০৯২ নং দলিলের সাথে ১৫৬ নং দলিলের তফসিলে কোন মিল নেই। অপর দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজীপুর সদর ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা কাছ থেকে যে শুনেছি মেজো ও হুমায়ুন ঘুষের দিয়ে ভূমি কর্মকর্তাদের আমার বাবার করা খারিজ বাতিল করিয়েছে। কিন্তু আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই আমাদের আরএস ১১৮২ দাগের ৩০ শতাংশ জমি তার ফটোকপি ভুয়া দলিল নং ১১০৯২ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা যা তাদের ভূয়া ফটোকপি দলিল ১১০৯২ নং এর তফসিল ও চোহুদী বলে দেয়। অপর দিকে চালাক চতুর হুমায়ুন কবির ও মেজবা উদ্দিনের কাজ থেকে আজ প্রায় ৯ বছর ধরে অরজিনাল ১১০৯২ নং দলিলটি চাচ্ছি কিন্তু তারা সেই দলিলটি দেখাতে পারছে না।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
এতেই প্রমাণ হয় তারা ভূমি দস্যু দক্ষলবাজ। তারা বারবার শুধু ভূয়া ফটোকপি ১১০৯২নং ভিন্ন তফছিলের দলিলটি দেখায় যা সরকারি খাশ জমির। হুমায়ুনের ১১০৯২ নং দলিলে আমার বাবা মৃত তারাজ উদ্দিন জমি বিক্রিও করেনি। তাই ১১০৯২ ও ১৫৬ নং দলিল বাতিল চেয়ে কোটে মামলাও করেছি। পাশাপাশি আমার পিতা মৃত তারাজ উদ্দিন মো: মিন্টু মিয়ার কাছে আড়াই শতাংশ বিক্রি করে আর এস ১১৮২ দাগে। চাঞ্চল্যকর তথ্য হচ্ছে আমার পিতা মৃত্যুর আগে ভূমিদস্যু হুমায়ুন কবির, মেজবাহ উদ্দিন মোল্লা ও নিরঞ্জন সহ তার কিছু সহযোগীরা ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমার পিতা মৃত তারাজ উদ্দিন এর কাছ থেকে জোরপূর্বক মিস আপিল নং ৩০/২০২০ এর আপোষ সোলনামায় স্বাক্ষর করান এবং আপোষ নামায় আমার ফুফুর প্রথম করা সইটি ও ছিল জাল। ওই ঘটনার পর আমার বাবা তারাজ উদ্দিন আমাদের কাছে সব খুলে বলেছিল এবং বাবা মৃত্যুর আগে হুমায়ুন কবির, মেজো, নিরঞ্জনসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে জমির উপর দাড়িয়ে একটি ভিডিও বার্তা ও জবান বন্দী দিয়ে গেছেন যে, তিনি ভূয়া ফটোকপি খাস জমির জাল দলিল নং ১১০৯২ তে জমি বিক্রি করে নি পাশাপাপাশি আর এস জোত সম্পদ ১১৮২ দাগেও ৩০ শতাংশ হতে জমি কারো কাছে বিক্রি করেননি। সেই ভিডিও ও জবান বন্দি আমরা যত্ন করে আমাদের কাছে সংরক্ষণে রেখেছি। এবং মিস আপিল ৩০ /২০২০ এর আপোষ সোলেনামার বিরুদ্ধে পুনরায় আমরা রিট করেছি। গুরুত্বপূর্ণ চাঞ্চল্যকর দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে পিতার মৃত্যুর পর তার লাশের পাশে বসে ঐ ভূমি দস্যু মেজো, হুমায়নদের কারনে যে জমিটি বিক্রি করতে পারেনি বা জমিটি উদ্ধার বিষয়ে কিছু সত্য কথা তুলে ধরে একটি ভিডিও করেছিলাম কিন্তু মেজো, আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির নিরঞ্জনসহ তাদের সহযোগীরা তখন আওয়ামীলীগ এর নেতাদের পাওয়ার দেখিয়ে আমাদের হুমকি দেয় যেন এই ভিডিও কোথাও না দেই বা সোশ্যাল মিডিয়াতে না ছাড়ি।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
তাই মায়ের অনুরোধ আর বিভিন্ন হুমকির সঙ্কায় থেকে ভিডিওটি তখন আর প্রচার করিনি। কিন্তু এখন করবো ইনশাআল্লাহ কারণ এখন ছাত্র-জনতার ন্যায়ের বাংলাদেশ। অতীতে শুনেছি ভূমি দস্যু মেজবাহ উদ্দিন সরাসরি এলাকার লোকদের টাকা দিয়ে এবং সরকারি লোকদের ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করে তার পক্ষে নিয়ে অন্যায়ের পক্ষে কথা বলাতো । কিন্তু এখন আমি সাংবাদিক হিসেবে বিশ্বাস করি যেহেতু ছাত্র জনতার বৈশম্যহীন ন্যায় প্রতিষ্ঠার বাংলাদেশ তাই মেজো বা হুমায়ুনের কোন টাকা পয়সা বা ঘুষ খেয়ে তার অন্যায়ের পক্ষে নিয়ে কেউ কোনো রকম কথা বলে আমাদের সঙ্গে কোন রকম অন্যায় বা জোড় জুলুম করবেনা। পরিশেষে বলবো আইন প্রশাসন সহ ছাত্র সমাজ এবং বাংলাদেশের সকল সুনাগরিক এবং আমার সকল সাংবাদিক সহযোদ্ধাদের সহযোগিতায় এই ভূমিদস্যদের কাছ থেকে আমরা আমাদের জমিটি ফেরত চাই।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: