• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

ঝিনাইদহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নানা অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৪৪ পিএম;
ঝিনাইদহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নানা অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে  সাংবাদিক সম্মেলন
ঝিনাইদহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নানা অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন

তথ্যগোপন করে গত ৩০ মাসে ১০৫৬ মে.টন গম জাল স্বাক্ষরে তুলে নেয়া হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। এছাড়াও গমের কেজি প্রতি ছয় টাকা হারে ঘুষ না দেয়ায় মিলের লাইসেন্স আটকে রেখে নানাভাবে জীবন নাশের হুমকী ধামকি দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়। এ ছাড়া নানা মিথ্যা অভিযোগ তৈরী করে আমাকে ফাঁসনোর ষঢ়যন্ত্র চলছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।কান্না জড়িত কন্ঠে লিখিত বক্তব্যে কথা গুলো বলেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর বাজারের হাফিজ ফ্লাওয়ার মিলের মালিক হাফিজুর রহমান।.

মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমি খাদ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স ধারী একজন নিঃস্ব মিলার এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আনোয়ারুল করিমের প্রতিহিংসার শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী। গত ২৯/১০/২০১৭ ইং তারিখে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স গ্রহন করি যার নং-০২। প্রথম বছরে ঝিনাইদহ খাদ্য গুদাম থেকে ১৪ টাকা প্রতি কেজি হিসাবে প্রতি মাসে ৭৫-৮০ মে.টন গম সরবরাহ পেতাম এই গম থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে আটা আমরা ডিলারের কাছে পৌছে দিতাম।সরকারী আইন অনুযায়ী এক‘শ কেজি গমের বিপরিতে ৭৭ কেজি আটা সরবরাহের নিয়ম রয়েছে।.

বাকী ২৩ কেজি ভুষি,ছাল পশুখাদ্য,মাছের খাদ্য হিসেবে ৩০/৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে।এদিকে আমি মিলার হিসেবে যথারীতি আইন মেনে মিল পরিচালনা করে আসছিলাম কিন্তু কোন কারন ছাড়াই গত আড়াই বছর ধরে আমার মিলের নামে বরাদ্দ কৃত গম না দিয়ে আমার স্বাক্ষর জাল করে মাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন বর্তমান খাদ্য কর্মকর্তা শেখ আনোয়ারুল করিম। তিনি তার অফিসের একটি সংঘবদ্ধ চক্র এবং কিছু মিলার ও ডিলারের সাথে যোগ সাজসে এই লুটপাটের রাজ্য তৈরী করে কোটি কেটি টাকার মালামাল কালো বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।.

তিনি বলেন, একটি মিল স্থাপনে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হয় যা আমি ব্যাংক লোনের মাধ্যমে সংগ্রহ করি। মিল চালাতে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন,পরিবহন খরচ,মিস্ত্রি খরচ, সহ নানাবিধ ব্যয় রয়েছে। যার পরিমান প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। তবে আমার মিলের নামে বরাদাদকৃত গম না পাওয়ায় সব হারিয়ে বর্তমানে আমি পথের ভিখারী। তিনি জানান জেলায় চার জন মিলারের মধ্যে একমাত্র আমাকেই টার্গেট করে গম সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।.

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে জবাবে বলেন খাদ্য কর্মাকর্তার হুমকীদেয়া অডিও রেকর্ড আমার কাছে রয়েছে। প্রয়োজনে তিনি আদালতে মামলা করতেও প্রস্তুত। তিনি সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,যদি প্রধান মন্ত্রী সদয় হন তাহলে আমি যে খাদের কিনারে দাড়িয়ে তা থেকে উদ্ধার হওয়া সম্ভব। তিনি জেলা খাদ্য কর্মকর্তার উপযুক্ত শাস্তি সহ জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারের কাছে নিজের জীবনের নিরাপত্ত দাবী করেন।.

.

ডে-নাইট-নিউজ / আতিকুর রহমান

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ