• ঢাকা
  • শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

ঝিনাইদহে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৫২ পিএম;
ঝিনাইদহে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা
ঝিনাইদহে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান ও  বহিস্কৃত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খন্দকার ফারুকুুজ্জামান ফরিদ ও তার গাড়ি চালক শাহীনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতা নিজে বাদি হয়ে ঝিনাইদহ থানায় এই মামলা দায়ের করেন। এর আগে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ধর্ষিতা নারীর দেওয়া বক্তব্যর ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম্যে ছড়িয়ে পড়ে। ভুক্তভোগী ৩৪ বয়ছর ওই নারী  জানান, বিচার চাইতে গিয়ে ফরিদ চেয়ারম্যানের লালসার শিকার হয়ে তিনি ধর্ষিত হন। তিনি তার দায়ের করা মামলায়  উল্লেখ করেছেন গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে হরিশংকরপুর গ্রমের নরহরিদ্রা গ্রামে চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদের নিজ বাড়িতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন কয়েক মাস আগে শহরতলীর কোরাপাড়া বটতলার আমির হোসেনের ছেলে মহসিনের সাথে ওই নারীর বিয়ে হয়। কয়েক মাস স্বামী স্ত্রীর হিসাবে বসবাস করলেও পরে বিয়ে অস্বীকার করে মহসিন। বিষয়টি সমাধানের জন্য এক পর্যায়ে ওই নারী তার পুর্ব পরিচিত চেয়ারম্যান ফরিদের সাথে আলাপ করেন। পরে সে তার বিষয়টা সমাধানের কথা বলে ফরিদ চেয়ারম্যান ১৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার নরহরিদ্রা গ্রামে তার বাড়িতে ডেকে নেন। ঐ নারীর ভাষ্যমতে ঘটনার দিন বিকালে তিনি ফরিদের গ্রামের বাড়িতে পৌছালে তাকে দুইতলার একটি কক্ষে নিয়ে যান এবং নেশা জাতীয় কিছু সেবন করিয়ে ফরিদ ও তার গাড়ীচালক শাহীন দুজনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষন করে। .

অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেছেন চেয়ারম্যান তাকে ধর্ষণ ছাড়াও শারিরীক ভাবে নির্যাতন করেন।  ধর্ষনের পর চেয়ারম্যান ফরিদ এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করেন। ধর্ষন শেষে ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে চেয়ারম্যানের গাড়ীচালক শাহীন তাকে মটর সাইকেল করে বিজয়পুর বাজারে রেখে যান। ১৬ এপ্রিল শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই নারী  ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।  এ বিষয়ে ঝিনাইদহ  সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহম্মদ সোহেল রানা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান অবিযোগ তদন্ত ও ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে তারা প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নিবেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদের মোবাইলে বার বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে মামলা হওয়ার আগে চেয়ারম্যান ফরিদ ফেসবুকে ধর্ষিতার ভিডিও বক্তব্য শুনে গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেছিলেন বিষয়টি  তার বিরুদ্ধে সম্পুর্ণ ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি  আরো বলেন ওই নারী তার কাছে বিচারের জন্য এসেছিলো কিন্তু যখন সে আসে তখন তার কাছে অন্তত  ৫০ জন ব্যাক্তি উপস্থিত ছিলো। সবাই দেখেছে ওই নারী তার কাছে আসার কিছুক্ষন পরে চলে গেছে। এর কোন সত্যতা নেই বলে তিনি দাবী করেন।. .

ডে-নাইট-নিউজ / ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ