ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে সপ্তম ও নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া ১৪ বছরের দুই কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে। তারা সম্পর্কে খালা ভাগ্নি। স্কুলে যাওয়ার নাম করে তারা ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ থাকায় পরিবারের সদস্যরা পড়েছে বিপাকে। হরিনাকুন্ডু থানায় এ বিষয়ে জিডি করা হলেও পুলিশ তাদের সন্ধান করতে পারেনি।.
জিডি সুত্রে জানা গেছে হরিনাকুন্ডু উপজেলার দরিবিন্নী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী ও বাসুদেবপুর গ্রামের শাহিন লস্কারের মেয়ে ভাবনা ইয়াসমিন শান্তা এবং একই গ্রামের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী মতিয়ার রহমানের মেয়ে কাকলী ওরফে রুপালী গত ১০ মে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।.
তারা সম্পর্কে উভয়ে চাচাতো খালা ও ভাগ্নি। তাদের বয়স ১৪ বছর। নিখোঁজের পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা খুঁজি করে দুজনকে না পেয়ে গত ১১ মে হরিনাকুন্ডু থানায় দুটি জিডি করেন। তারা পালিয়ে কারো সঙ্গে চলে গেছেন না কেউ অপহরণ করেছে তা নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।.
এবিষয়ে জিডি তদন্তে দায়িত্বে থাকা হরিণাকুন্ডুর এসআই হুমায়ন কবীর বলেন, তারা কৌশলে মোবাইল থেকে সব কিছু ডিলিট করে মোবাইল বাড়িতে রেখে নিখোঁজ হয়েছে। তাদের সাথে একই গ্রামের দুইটি ছেলের সম্পর্ক ছিল বলে শুনেছি। ওই ছেলেদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে তাদের সঙ্গে ব্রেকআপ হয়েছে।.
ছেলে দুটি বাড়িতেই রয়েছে। ঘটনার সুত্র ধরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তন্ন তন্ন করেও তাদের হদিস পাচ্ছে না বলে তিনি জানান। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। আশরা করা যায় দ্রæত সমাধান হবে। নিখোঁজ কাকলীর পিতা মতিয়ার রহমান জানান, তার মেয়ের বয়স ১৪ এবং গায়ের রং ফর্সা।.
উচ্চতা ৪ ফুট ১০ ইঞ্চি। হারিয়ে যাওয়ার সময় লাল খয়েরি বোরকা ও কালো রংয়ের হিজাব মাথায় ছিল। ভাবনা ইয়াসমিনের পিতা শাহির লস্কার জানান, তার মেয়ের উচ্চতা হবে ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। তার পরণে লাল খয়েরি বোরকা ও কালো রংয়ের হিজাব মাথায় ছিল। এদিকে সপ্তম ও নবম শ্রেনীতে পড়–য়া ১৪ বছরের খালা এবং ভাগ্নী উধাওয়ের ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি পরিবারে নেমে এসেছে চরম হতাশা।. .
ডে-নাইট-নিউজ / আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: