• ঢাকা
  • শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

দুর্নীতির আখড়ায় রূপান্তর বিশ্বনাথ পৌরসভা


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৪ ফেরুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৪০ পিএম;
দুর্নীতির আখড়ায় রূপান্তর বিশ্বনাথ পৌরসভা
দুর্নীতির আখড়ায় রূপান্তর বিশ্বনাথ পৌরসভা

বিশ্বনাথ পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বেতন নেন মেয়রের সহকারীসহ ১৩ জন! দূর্নীতির আখড়ায় রূপান্তর হয়েছে বিশ্বনাথ পৌরসভা।.

বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারীর কাজ করে বেতন-ভাতা তুলছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে মেয়র মুহিবুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী জাহেদ আহমদের বিরুদ্ধে। তাকে সব সময় মেয়রের সহকারী হিসাবে সঙ্গে থাকতে দেখা যায়। বেতন-ভাতার মাস্টাররোল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।.

মাস্টাররোল থেকে আরও জানা গেছে, উপজেলা ও পৌরসভার ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, ডিজিটাল সেন্টারের কম্পিউটার অপারেটর, মেয়রের ফেসবুক লাইভকারী ও ভিডিও ধারণকারীসহ মোট ১৩ জন তাদের মূল তথ্য গোপন রেখে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। জাহেদ আহমদ ছাড়া বাকি ১২ জন হচ্ছেন সুরমান আলী, নওশাদ জামান চৌধুরী পাবেল, মো. আব্দুল্লাহ, সাজিদুর রহমান সাজু, হেলাল উদ্দিন, লিজা বেগম, মোছা. আনজুমা বেগম, পিয়ন কামরুল আহমদ, পিয়ন অপু দেব রিংকু, ময়নুল ইসলাম স্বপন ও তপন মালাকার।.

তাদের মধ্যে উপজেলা ও পৌরসভার ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সুরমান আলী ২০২০ সালে পেয়েছেন দেশসেরা উদ্যোক্তার পুরস্কার। তারা ১৩ জনকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী দেখিয়ে মাস্টাররোলের মাধ্যমে বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলে পৌরসভার দায়িত্বশীল মুতালিব নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন।.

এদের মধ্যে জাহেদ আহমদ বেতন-ভাতা পান ১৮ হাজার টাকা, সুরমান আলী ১৫ হাজার, নওশাদ জামান চৌধুরী পাবেল ১৫ হাজার, মো. আব্দুল্লাহ ১৫ হাজার, সাজিদুর রহমান সাজু ১০ হাজার, হেলাল উদ্দিন ১২ হাজার, লিজা বেগম ৮ হাজার, মোছা. আনজুমা বেগম ৮ হাজার, কামরুল আহমদ ৮ হাজার, অপু দেব রিংকু ৮ হাজার, ময়নুল ইসলাম স্বপন ৮ হাজার, তপন মালাকার ৮ হাজার ও জমির আলী ৮ হাজার টাকা।.

গত বছরের ১ অক্টোবর মেয়র মুহিবুর রহমান, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাভী ও হিসাবরক্ষক সাজেদুল হক স্বাক্ষরিত পৌরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পাওয়ার মাস্টাররোল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।.

জানতে চাইলে মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী জাহেদ আহমদ বলেন, মেয়র চাইলে যে কোনো কাজ দেখিয়ে মাস্টাররোলের মাধ্যমে বেতন-ভাতা দিতে পারেন। তবে তার মানসম্মান যাতে নষ্ট না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন।.

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মুহিবুর রহমানের মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।. .

ডে-নাইট-নিউজ / বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ