দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের সহায়তা ছাড়া ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারকে হটানো সম্ভব ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান মোঃ রাশেদ খাঁন। তিনি বলেন, জুলাই ছাত্রজনতার বিপ্লবের সময় খুনি হাসিনার দোসর পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আওয়ামীলীগ ক্যাডারদের গণহত্যার বিভৎস্য ছবি সাংবাদিকরাই তুলে মিডিয়ায় প্রচার করেছিলেন। ফলে হাসিনার পতন ত্বরান্বিত আমাদের জন্য সহজ করে দেয়। এই সমাজ সভ্যতা যতদিন থাকবে সাংবাদিকদের তোলা ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিপ্লবীদের একদিকে যেমন অনুপ্রেরণা যোগাবে তেমনি ভাবে গণহত্যার এই বিভৎস্য ভয়াবহ স্মৃতি স্বজনদেরকে আবেগতাড়িত করবে। দেশ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের অবদান সব থেকে বেশি। মোঃ রাশেদ খাঁন শনিবার দুপুরে তার নিজ জেলা ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি সব সময় নিজের আসন ও ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে রাখতে পদলেহী সাংবাদিক তৈরী করে। শেখ হাসিনাও এর ব্যাতিক্রম ছিল না। তার দালাল ও চাটুকার সাংবাদিকরা পেশাদারিত্বের পরিবর্তে চাটুকারিতার পথ বেচে নিয়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তারা দেশের গণশত্রæ। ওই সব দালাল সাংবাদিকদের বিচার করতে না পারলে বিপ্লবীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। মোঃ রাশেদ খাঁন আরো বলেন, ছাত্রজনতার গনবিপ্লব একটি দুর্নীতি, লুটপাট, দখলদারিত্ব ও বৈষম্যবিরোধী একটি সমাজ বিনির্মানে প্রেরণা যোগাবে। সেই লক্ষ্যে তাদের দল গণঅধিকার পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, হাসিনা পালিয়ে গেলেও প্রশাসনের পরতে পরতে তার দোসররা বসে আছে। যারা ছাত্রদের গুলি করে মেরেছে তাদের এখনো ধরা হয়নি। এ কারণে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনে কোন গতি নেই। জেলায় জেলায় দুর্নীতিবাজ ও আ’লীগের দোসররা বহাল রয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলন দুই মাসের ছিল না, বরং এর শেকড় ১৬ বছর আগে প্রথিত হয়েছিল। সেই মঈনুদ্দীন ফকরুদ্দীনের আমল থেকে দেশে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সুচন। সেই আন্দোলন তিল তিল করে দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো চালিয়ে এসেও যখন গতি পাচ্ছিল না, তখন একটি প্রেক্ষাপট তৈরী হয়। তরুণ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াত, গনতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন রাজপথে নেমে আসলে বিপ্লব সাধিত হয় এবং ছাত্র জনতার গনরোষে হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। রাশেদ খাঁন নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনা জরুরী দাবী করে বলেন, পরিকল্পনাহীন ভাবে কোন সরকার চলতে পারে না। নিশ্চয় সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ দিয়ে তাদের সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন আমরা সরকারকে সহায়তা সহায়তা করছি। প্রেসক্লাব সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান, সংগঠনের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, যুবঅধিকার পরিষদের রাকিবুল হাসান রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিশন আলী, ছাত্র অধিকার পরিসদের সভাপতি আব্দুল্লা আল মামুন ও ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদ মোঃ রিহান হাসান রায়হান।.
ডে-নাইট-নিউজ / ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আপনার মতামত লিখুন: