লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ৫০ শয্যা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান কর্মকর্তার নানান অনিয়সহ বিভিন্ন অনিয়মে চলছে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য রাতে মোমের আলোতে চলে সেবারকাজ। তাও রোগীদের ব্যক্তিগত টাকায়। এতে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম দিন দিন ভেঙ্গে পড়েছে।.
এ ছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের উপর আইনের অতি খর্বে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।.
এদিকে রাত-দিন রোগীদের সেবার সহায়ক বিদ্যুৎ কয়েকমাস নিরবিচ্ছিন্ন। প্রধান কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন অবহেলায় এমন সমস্যা বলে হাসপাতালের একাধিক সূত্র বিষয়টি জানিয়েছেন। হাসপাতালে সরকারি বরাদ্দের লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দের বিপরীত কাজ দেখিয়ে নয়-ছয়সহ লুট করার অভিযোগ রয়েছে।.
এদিকে উপজেলার অনুমোদনহীন অসংখ্য ডায়গনস্টিক সেন্টার গড়ে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেই। প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন প্রসেসিং এর নামে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকা নিচ্ছে ন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কখনো অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে। নতুন প্রতিষ্ঠান ফজুমিয়ারহাট নিরাময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিজের কাগজপত্র নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।.
পপুলার ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিকেল সেন্টারে রোগীদের কাছে নির্ধারিত মূল্যের দ্বিগুণ টাকা দাবি করে সংশ্লিষ্টরা। পরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মূল্য তালিকা অনুযায়ী টাকা নেয়া হলেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আরো কমে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা জানান। এজন্য রোগী হয়রানি ও টাকা নেয়া বদনাম হচ্ছে চিকিৎসা সেন্টারগওলোর। এসব বিষয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেখার বিষয়।.
করইতলা হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট একটি প্রাইভেট সেন্টারে আল্ট্রারুমে নেই এসি। এছাড়া ছোট একটি রুমে জরুরী সেবা দেয়া হচ্ছে। এদিকে লাইফ লাইন হাসপাতাল ও মডার্ড হাসপাতালে নিয়মিত এমবিবিএস ডাক্তার না থাকায় রোগীরা চরমভোগান্তিতে পড়ে। এতে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে।
রাতের অন্ধকারে হাসপাতালে শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটে। পাশাপাশি বিভিন্ন চোরদের উপদ্রব দেখা যায়। সরকারি উন্নয়নের বরাদ্দের ডাক দল নিজে পিটাচ্ছেন নিজের নামে। কর্মকর্তার এমনকান্ড হাসপাতালের বিভিন্ন দায়িত্বশীলরাও ক্ষুব্ধ। ডেঙ্গু রোগী সহ বিভিন্ন রোগ পরীক্ষা ক্ষেত্রে দুর্ভোগ রোগীরা। হাসপাতালে যথার্থ সেবা না পেয়ে বিভিন্ন প্রাইভেটে জুঁকছেন রোগীরা।.
কর্মকর্তার একক প্রভাবে হাসপাতালে বিভিন্ন উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ। এ সকলের পেছনে অফিস সহকারি মোহাম্মদ জাকির হোসেনও জড়িত। উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডা. মো: আবু তাহের পাটোয়ারী জানান, আমি যোগদান করার পর হাসপাতালের সৌন্দর্য বিশাল আধুনিকায়ন হয়েছে। রোগীদের সেবার মান উন্নত হয়েছে। তবে ছোটখাট কিছু কাজ এখনে বাকি রয়েছে।.
সরকারী বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহারে কয়েকটি নতুন ভবনসহ হাসপাতাল ঝকমক করছে। তবে বিদ্যুৎতের বিষয়টি কিছুটা অবহেলা হয়ে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি) :
আপনার মতামত লিখুন: