দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নিজের চাষ করা ঘাষ খেয়ে এক খামারির তিনটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। কারন খুজে পাচ্ছেন না খামারি। পশু হাসপাতালের ডাক্তার বলছে ঘাষে বিষক্রিয়ার কারনে গুরুর মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।.
সরজমিনে জানাযায়,পৗর এলাকার চক সাহাবাজপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র মো. আব্দুল বারী গতকাল সকালে ঘটারপাড়া মাজার সংলগ্ন তার নিজ জমি থেকে নেপিয়া নামে ঘাষ কেটে রাস্তায় রেখে আসেন। বিকালে তার ছেলে ওই ঘাষ নিয়ে বাসায় এসে গোয়াল ঘরে থাকা ৫টি গুরু ও ২টি ছাগলকে খেতে দেন। ঘাষ খেতে থাকা একটি গুরু দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ মাটিতে পড়ে যায়। তিনি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে অনেক চেষ্টা করেও গরুটি দাঁড় করাতে পারেননি। ততক্ষণে গরুটির মৃত্যু হয়। এর কিছুক্ষণ পর আবারো একটি গরুর একই ভাবে মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিয়ে আব্দুল বারী চরম দুশ্চিন্তায় পড়েন। সাথে সাথে উপজেলা প্রানি সম্পদ অফিসে খবর দিলে ভেটেরিনারী সার্জন ডা. নিয়ামত আলী ঘটনাস্থলে এসে বাকি গরু ও ছাগল গুলোকে চিকিৎসা শুরুর এক পর্যায়ে আরো একটি গরু মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। এ নিয়ে মোট তিনটি গরুর মৃত্যু হয়। বাকি দুটো গরু ও দুটো ছাগল সময় মত চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়।.
গরুর মালিক আব্দুল বারী বলেন, আমি অনেকদিন ধরে জমিতে ঘাস চাষ করে বিক্রি করি এবং নিজের গরুকে খাওয়াই। এরকম অবস্থা কোনোদিন হয়নি, আজ এরকম হওয়ার কারণ কি আমি বুঝতে পারছিনা। তবে আমার ধারণা কেউ শত্রুতা করে আমার কাটা ঘাষে বিষ মেশাতে পারে।.
ফুলবাড়ী প্রানি সম্পদ অফিসের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. নিয়ামত আলী এ বিষয়ে জানান, খবর পেয়ে আমি গিয়ে দেখি দুটি গরু মারা গেছে। এর কিছু পরে আরও একটিসহ মোট তিনটি গরু মারা যায়। এটি নাইট্রিক পয়জনিং এর কারণে মারা গেছে। যদি আরো গরু মারা যায় তবে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান তিনি।. .
ডে-নাইট-নিউজ / দিনাজপুর প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: