• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

ফুলবাড়ীতে বোরো ধান রোপনে ব্যয় বৃদ্ধি আশংঙ্খায় কৃষক


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৬ ফেরুয়ারী, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:০১ পিএম;
ফুলবাড়ীতে বোরো ধান রোপনে ব্যয় বৃদ্ধি আশংঙ্খায় কৃষক
ফুলবাড়ীতে বোরো ধান রোপনে ব্যয় বৃদ্ধি আশংঙ্খায় কৃষক

রংপুর অঞ্চলের দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর বেশির ভাগ লোক কৃষির উপরে নির্ভরশীল। দেশের অর্থনীতির একটা বড় অংশের যোগানদাতা এই এলাকার কৃষি। কৃষি উৎপাদনের উপরই আমাদের বেঁচে থাকা। শুধু মানুষই নয় বরং অধিকাংশ জীব জন্তুর জীবনচক্র আবর্তিত হয় কৃষির কেন্দ্র করেই। ভোগ্যপণ্যের মূল্য অনেকটা নির্ভর করে কৃষির উৎপাদন খরচের উপর। উৎপাদন ব্যয় যত বেশি হবে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যও ততোই বাড়বে।.

জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ব্যাপক হারে বাড়ছে এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনের খরচ। বর্তমানে কৃষি উৎপাদন অনেকটা যন্ত্র নির্ভর। জমি চাষ, পানি সেচ, ধান কাটা, মাড়াই, পরিবহন সব কিছুতেই ব্যবহৃত হয় তেল চালিত যন্ত্র। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যয় বেশি হচ্ছে কৃষকের। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রতি হেক্টর বোরো ধানের জমি প্রতিবার চাষে ট্রাক্টর ভাড়া পূর্বে ছিল ৮০০-৯০০টাকা। বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১১০০-১২০০টাকা।.

উপজেলার পুরাতন বন্দর (তেলিপাড়া)'র কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বোরো ধান রোপণের জন্য জমি ভেদে ৪ থেকে ৬ বার চাষ করতে হয়। এক হেক্টর জমি চাষ করতে আগে খরচ হত ৪৮০০-৫৪০০টাকা। কিন্তু এখন একই জমি চাষ করতে ৬৬০০-৭২০০টাকা লাগছে। একই ভাবে পানি সেচের মূল্যও বাড়ছে। জ্বালানী তেল ডিজেলের দাম বাড়ায় ধান কাটাই, মাড়াই সহ পরিবহন খরচও বাড়বে। তবে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর হতে বিনামূল্যে বীজ পাওয়াই কিছুটা উপকার হয়েছে।একই কথা বলেন উপজেলার কাঁটাবাড়ী গ্রামের কৃষক হিরেন্দ্রনাথ বর্মন,বারোকোন গ্রামের মোঃ জরিপ মন্ডল ও মোঃ শুকুর আলী।.

ট্রাক্টর চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, পূর্বে ডিজেলের দাম প্রতিলিটার ৬৫ টাকা ছিল যা বর্তমানে একলাফে ৮০টাকা হয়েছে। তেলের দাম বেশি হওয়ার কারণেই চাষের মূল্য বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছি। সরকার পানি সেচ কাজে বিদ্যুতে যেমন ভর্তুকি দিয়েছেন কৃষি কাজে ব্যবহৃত জ্বালানী তেলে ভর্তুকি দিলে উৎপাদন ব্যয় কম হত।.

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার জানান, উপজেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪,১২০ হেক্টর জমি। উৎপাদন ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রণোদনার আওতায় প্রায় ৬ হাজার কৃষকের মাঝে বোরো ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি সহায়তায় কিছুটা হলেও উৎপাদন ব্যয় কমবে বলে আশা করছি।.

তেলের দাম বাড়ায় একদিকে কৃষক যেমন তার উৎপাদন ব্যয় নিয়ে শঙ্কিত অন্যদিকে সাধারণ জনগণ শঙ্কিত নিত্যপণ্যের অনাগত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে।. .

ডে-নাইট-নিউজ / দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ