নিজস্ব প্রতিবেদক: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলী-পশ্চিমকুল দিয়ে মিয়ানমারে পাচার করছে জ্বালানী তেল,বিনিময়ে ওপার থেকে নিয়ে আসছে মরণনেশা ইয়াবা,তরল মাদক,গরু-ছাগল, মহিষ,আমদানী নিষিদ্ধ সিগারেট,শোকনা সুপারী,খাদ্যদ্রব্য কপি,ক্যালসিয়াম,কসমেটিকস সহ নানা চোরাই পণ্য।এসব সীমান্তের দুই পারে বড়-বড় চোরাচালান পাচারে রয়েছে,বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সহ গ্রেফতার হওয়া মাদক মামলার আসামী,ঘুমধুম ইউনিয়ন বিএনপির জনবিচ্ছিন্ন নেতা,পশ্চিমকুল লতিফিয়া মসজিদ সংলগ্ন বাড়ির ছৈয়দ আলম ও সোনা মেহের দম্পতির ছেলে,মিথ্যা মামলাবাজ খ্যাত জকির আহমদের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।তার সিন্ডিকেটে সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে রয়েছেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৭ এর আশ্রিত রোহিঙ্গা মো:হোছন প্রকাশ শেইখ্যা।আর দুই পারের চোরাচালানের লেনদেন ও হিসেব নিকাশের গুরু দায়িত্ব পালন করছেন জকির আহমদের ছোট ভাই সাইফুদ্দিন আর জ্বালানী তেল এপার থেকে বুজিয়ে নেওয়া আর মিয়ানমারে বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন জলপাইতলী এলাকার নুরুল কবির মনিয়ার ছেলে মো:শাহীন।১২ সদস্যের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রায় প্রতি দিবারাতে শত-শত কন্টেইনার ভর্তি ডিজেল,কেরাছিন ও অকটেইন সিএনজি ও ডাম্প ট্রাক যোগে জকিরার বাড়ি ও তার আশপাশে মজুদ করে সুযোগ বুঝে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারের সরকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিচ্ছে।এসব জ্বালানী তেল বাবার বাড়ি ভিটায় মজুদ রাখার কারণে পাচারে বাধা দিলে জকির আহমদ আপন সহোদর ছোট ভাই জসিম উদ্দিন কে ব্যাপক মারধরে করে বলে জানা গেছে।জকিরা তেল পাচার কালে চোখে পড়া লোকজন ও তার হাতে মারধরের শিকার ছোট ভাই কে হাকাবকা করে বলে বেড়াচ্ছে,তেল পাচার এবং মিয়ানমার থেকে চোরচালানের বিষয়ে সব আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা কে ম্যানেজ করে পাচার যজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।প্রায় প্রতি রাতে জকিরার সিন্ডিকেটের চোরাচালানীরা উখিয়ার দক্ষিণ স্টেশন ও কুতুপালং'র একটি পাম্প থেকে ডাম্প ট্রাক ও সিএনজি যোগে শত-শত কন্টেইনার ভর্তি জ্বালানী তেল,চাল নিয়ে উখিয়ার টিভি টাওয়ারের পুর্বপাশের তুমব্রু আর্মি সড়ক হয়ে তুমব্রু পশ্চিমকুল লতিফিয়া মসজিদ সংলগ্ন জকিরার বাড়ি ও আশপাশের স্থানে মজুদ করে রেখে সীমান্তের আইনশৃঙ্খলা রক্ষী বাহিনীর টহল গতিবিধি লক্ষ্য করে মুহুর্তেই মিয়ানমারের ওপারে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিচ্ছে।আবার সুযোগ বুঝে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক দিয়ে রাত গভীরে ডাম্প ট্রাক ও সিএনজি যোগে পাচার যজ্ঞ সক্রিয় রাখে।জকিরা নাকি এসব পাচার যজ্ঞ চালাতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে।গাল মেরে বলে বেড়াচ্ছে,মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের সরকারী বিভিন্ন বাহিনীতে তার হাত রয়েছে।সে কাউকে পরোয়া করছেনা।.
.
একজন কথিত বিএনপি নেতা সীমান্তের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে? তার খুটির জোর কোথায় খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে সীমান্তের দেশপ্রেমিক জনতার দাবী।জকিরা গং পারিবারিক ভাবে ইয়াবা ও চোরাচালান পাচারে জড়িত।ইতিপূর্বে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা এবং আরো ৪ সহযোগী সহ ২০২১ সালের ২৭ জুলাই র্যাব-১৫'র হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে জামিনে এসে ফের পুরানো পেশায় নেমে পড়েছে।জকিরার অবৈধ কারবারে প্রতেক্ষ্য সহযোগী হিসেবে তার একাধিক নারী রয়েছে।বিয়ে করেছে একাধিক।সেসব নারী জকিরার সকল অপকর্মের সহযোগী হিসেবে কাজ করে থাকেন।জকিরা সিন্ডিকেট ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলী-পশ্চিমকুল পয়েন্ট দিয়ে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করলেও রহস্যজনক কারণে আইনের আওতায় আসেনা,তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।.
জকিরার অবৈধ কারবারের জ্বালানি তেল,চাল,ভোজ্য তেল ও মিয়ানমারের পণ্য বাড়ি ভিটায় ছোট ভাই জসিম উদ্দিন বাধা দেওয়ায় তাকে ব্যাপক মারধর করে,জসিম উদ্দিন কে প্রশাসনের লোক ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আরসা ও আল ইয়াকিন সন্ত্রাসীদের দিয়ে উঠিয়ে নেবে বলে প্রকাশ্যে হাকাবকা করছে।প্রশাসনের সব লোক নাকি ইয়াবা ও চোরাচালান সিন্ডিকেট প্রধান জকিরার টাকায় কেনা।তাই জসিম উদ্দিন জকিরার হুমকিতে জীবন নিয়ে শংকিত।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জকির আহমদের নিকট জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার করে,তেল পাচারের তোমার ছবি এবং ভিডিও আছে,এমন বললে জকির আহমদ প্রতি উত্তরে বলেন আমি রাতে পেট্রোল পাম্পে গেলে কে-বা কারা আমার ছবি তুলে ষড়যন্ত্র করছে বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন করে দেন।.
.
ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বলেন,জকির আহমদের ইয়াবা এবং চোরাচালান বিষয়ে অবগত আছি।পুলিশ মাদক ও চোরাচালান রোধে কাজ করছে।মাদক কারবারি -চোরাচালানী যত বড় শক্তিশালী হউক,একদিন আইনের আওতায় আসবে।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: