শুনেছিলেন কারো ঘরে তিন বেলার আহার জুটে না আবার কেউ কেউ এক কাপড়েই তিন থেকে পাঁচ দিন কাটায়। এসব দুর্দশার গল্প শুনেই পাঁচ গ্রামের দুই শতাধিক আদিবাসী নারী-পুরুষসহ শিশু-কিশোরের জন্য শীতবস্ত্র ও কাপড় নিয়ে হাজির হন বিশিষ্ট সমাজসেবক আনন্দ কুমার গুপ্ত। গতকাল রবিবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পুকুরপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, কামাড়ডাঙ্গা, তিলাইপাড়া ও পলিপাড়ার বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল এবং শিশু-কিশোরে মাঝে শীতের কাপড় বিতরণ করা হয়।.
বেলা ১১টায় শীতার্তদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে শীতবস্ত্র তুলে দেন শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মো. জিল্লুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক দেশ মা সম্পাদক প্রভাষক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, শীতবস্ত্র বিতরণের পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট সমাজসেবক আনন্দ কুমার গুপ্ত, আমরা করব জয় সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্লাবন শুভ, সাংবাদিক মেহেদী হাসান উজ্জল, আমরা করব জয়ের স্বেচ্ছাসেবক জাকিরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।.
সতোর্ধ্ব সুকু মার্ডি, মুংলী সরেন, গোলাপী হাঁসদা ও নয়ন মুর্মু বলে, আমাদের এই পাঁচটি গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ সকলপ্রকার সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত। কারো কারো ঘরে তিন বেলার আহার জুটে না। কেউ কেউ এক কাপড়েই তিন থেকে পাঁচ দিন কাটায়। এই তথ্যটি বিশিষ্ট সমাজসেবক আনন্দ গুপ্তের কানে আসে। তিনি গ্রামগুলো পরিদর্শন করেন এবং সকল শিশুদের জন্য শীতের পোষাক ও বড়দের জন্য কম্বল নিয়ে হাজির হন। তার এই উদারতার আমাদের অন্তরে গেঁথে থাকবে আজীবন।.
বিশিষ্ট সমাজসেবক আনন্দ কুমার গুপ্ত বলেন, কিছুদিন আগে একটি সভার মাধ্যমে জানতে পারি যে আমাদের উপজেয়া এমন কিছু মানুষ আছেন যারা এক কাপড়েই কয়েক দিনে কাটিয়ে থাকে। ঘরে খারার জুটে না। সেই তথ্য পেয়ে ওই গ্রাম পরিদর্শন করে তাদেরকে শীতবস্ত্র বিতরণের সিদ্ধান্ত নেই। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক কাজে অবদান রেখেছি। আগামীতেও মানুষের সেবায় মানুষের পাশে থাকবো।.
শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মো. জিল্লুর রহমান ও ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক দেশ মা সম্পাদক প্রভাষক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু বলেন, আনন্দ কুমার গুপ্ত মানুষের দুর্দশার জীবনগল্প শুনলেই ছুটে যান। তার এই উদ্যোগ আসলেই প্রশংসনীয়।.
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
আপনার মতামত লিখুন: