নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি) লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরের মেঘনানদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা ও কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে সর্বদলীয় একটি পর্যবেক্ষক কমিটি গঠন করার দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কমলনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ আগষ্ট রবিবার বিকাল ৩ টায় কমলনগর প্রেসক্লাব চত্বরে উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন , লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর )আসনের হাতপাখা প্রতীকের সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী,ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ ) মুফতি শরীফুল ইসলাম জিহাদী।.
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর রক্ষা কল্পে বাংলাদেশ সরকার ৩১শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেন।এজন্য রামগতি ও কমলনগর উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। বিশাল এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হলে কাজের মান টেকসই হবে। কিন্তু কিছু ক্ষমতালোভী-স্বার্থপর রাজনীতিবীদ ও দুর্নীতিবাজ আমলারা এই কাজটি নিয়ন্ত্রণ ও কমিশন বাণিজ্য করে নিজেদের পকেট ভারী করতে নিজেরা নিজেদের মত করে টেন্ডার আহবান করে। রামগতি-কমলনগরের সাড়ে সাত লাখ মানুষের হৃদয় চরম আঘাত দিয়েছে।দু-উপজেলার সাড়ে সাত লাখ মানুষের প্রাণের দাবীকে উপেক্ষা করে সাধারণ ঠিকাদার দিয়ে এই টাকা লুটপাটের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে যাচ্ছে, যা নদী ভাংগা মানুষের সাথে প্রতারণার শামিল। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, অতিতের বাস্তবতা থেকে বলা যায়,রামগতি আলেকজান্ডার এলাকার সাড়ে তিন কিলোমিটার বাঁধ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়ায় সেখানে টেকসই বাঁধ হয়েছে। অপরদিকে সাধারণ ঠিকাদার দিয়ে কমলনগরের মাতাব্বরহাট এলাকায় নির্মিত বাঁধটি কয়েকবার ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। এর মাধ্যমে প্রমানিত হয় সাধারণ ঠিকাদারের মাধ্যমে টেকসই ও মজবুত বাঁধ সম্ভব নয়।এতে নদী বাঁধের টাকা নদীতে ভেসে যাওয়ার মতই হবে।.
নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জনগনের ঘাম ঝরানো ও পরিশ্রমের টেক্সের এই টাকা লুটপাট করার অপচেষ্টা করা হলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। আমাদের বাপ দাদার ভিটেমাটি রক্ষার এই টাকা কোন নেতা -সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারি ও ঠিকাদাররা লুটপাট করবে আর তা আমরা বসে বসে দেখবো, তা হতে পারেনা। জনগনের টেক্সের টাকা জনগন বুঝিয়ে নিবে ইনশাআল্লাহ। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে লুটপাট -দলবাজী -চাঁদাবাজি ও কমিশন বাণিজ্য করার চেষ্টা করলে তা ভয়াবহ হবে। প্রয়োজন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শতভাগ কাজ আদায়ের জন্য আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে ইনশাআল্লাহ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রামগতি-কমলনগরের সচেতন মহল বিশেষ করে সর্বদলীয় প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক - আলেম ওলামা - ইমাম মোয়াজ্জেম ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি তদারকি ও পর্যবেক্ষক কমিটি গঠনের দাবী জানান।.
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় উপসম্পাদক, একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা দফতর সম্পাদক, মাওলানা নুরুল আলম মুসা। আলহাজ্ব আবদুর রহমান, মাও ওমর ফারুক, জনাব মোসলেহ উদ্দীন, আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ, মাওলানা নজিরুল ইসলাম, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মেরাজ, মোহাম্মদ শোরাফ উদ্দিন স্বপন, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল প্রমূখ।. .
ডে-নাইট-নিউজ / নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি)
আপনার মতামত লিখুন: