• ঢাকা
  • শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

শিশু রাকিবের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও বেলায়েত হোসেন


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১০:২৯ এএম;
শিশু রাকিবের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও বেলায়েত হোসেন
শিশু রাকিবের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও বেলায়েত হোসেন

নীলফামারীর ডিমলায় সারে ৪ বছর বয়সী রাকিব হোসেন নামের এক শিশুর চোখের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন। উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের  বন্দরখড়ীবাড়ী টুনিরহাট বাজারের পূর্বদিকে বাবুপাড়া নামক গ্রামে বসবাসরত গরিব ভূমিহীন অসহায় দিন মজুর মফিজুল ইসলাম ও রুমি বেগমের একমাত্র পুত্র সন্তান রাকিব হোসেনের চোখে গত ২ বছর আগে গ্লুকোমা অন্ধত্ব রোগ ধরা পরে।.

প্রথমে চোখের চিকিৎসা করা হয়, এমন স্থানীয় ডাক্তারের চেম্বারে শিশু রাকিবকে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান তার বাবা-মা। এতে কোনো উন্নতি না হয়ে আরও অবনতি হয়। পরে ডিমলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার রেফার্ড করেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।.

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রেফার্ড করেন ঢাকায়। শেষে ঢাকার শেরে বাংলা নগর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ভর্তি করান শিশু রাকিবকে। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেন, রাকিবের চক্ষুটি বাচাঁতে উন্নত চিকিৎসার জরুরী প্রয়োজন এবং তা ব্যয় বহুল। গরীব দিন মজুর পিতা-মাতার পক্ষে তার চিকিৎসার খরচ বহন করা মোটেও সম্ভব নয়। অর্থাভাবে গরিব অসহায় পিতা মাতার পক্ষে চিকিৎসা করাতে না পারায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফুটফুটে শিশু রাকিবের একটি চোখ। বর্তমানে রাকিব অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় বাড়িতেই রয়েছেন। এবং দিনদিন রাকিবের চক্ষুর অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। যা পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।.

এমতোবস্থায় পরে গত ২৪ এপ্রিল রমজান মাসে ফুফু মারুফা ও মা রুমি বেগম শিশু রাকিবকে নিয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন (ইউএনও)'র কাছে যান। তখন তিনি ওই শিশুটিকে দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং তার অবস্থা বিবেচনা করে শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই সাথে তিনি বলেন, শিশুটিকে যেখানে চিকিৎসা করালে ভালো হবে সেখানে আপনারা নিয়ে যান এতে যতো টাকা-পয়সা খরচ লাগে আমি দিবো। এ সময় শিশু রাকিবকে ফল-ফলান্তি কিনে দেন তিনি। .

এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বলেন, সেদিন দুপুরের দিকে দুজন মহিলা শিশু রাকিবকে নিয়ে আমার অফিসে আসেন। তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, শিশুটির চোখের চিকিৎসা করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তার পরিবার। তাই আমার কাছে এসেছেন চিকিৎসায় সহায়তার জন্য। শিশুটির এমন করুণ অবস্থা দেখে তার চোখের চিকিৎসা করাতে যত টাকা খরচ হবে তার দায়িত্ব গ্রহণ করি৷ বাবা (মফিজুল ইসলাম)- পার্সোনাল বিকাশ নং- ০১৭০-৭৪৬৭৯৩০। অন্যান্য হৃদয়বান ধনাত্মক ব্যক্তরা এ নাম্বারে সাহায্য পাঠাতে পারেন।.

.

ডে-নাইট-নিউজ / জাহাঙ্গীর রেজা, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ