• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

সখীপুরে এক বাড়িতে ৫ টি গরু,দু্ধ্বর্ষ চুরির ঘটনা


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:২৯ পিএম;
সখীপুরে এক বাড়িতে ৫ টি গরু,দু্ধ্বর্ষ চুরির ঘটনা
সখীপুরে এক বাড়িতে ৫ টি গরু,দু্ধ্বর্ষ চুরির ঘটনা

২৯ মার্চ রাতে টাংগাইলের  সখীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে সখীপুর টু কালিদাস পাকা রাস্তার আনুমানিক ২০০/৩০০ গজ দূরে সখীপুর জনতা বাজার ওরফে ( ফুটানী বাজার)এর নিকটে এমন ভয়াবহ চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে,সখীপুর জেলখানা মোড় হতে কালিদাস পাকা রাস্তার পাশে ফুটানি বাজারে একটু আগে,মূল রাস্তার পশ্চিম পাশে মোঃ কামরুল হাসান নামে এক গরু খামারির বাড়ি অবস্থিত।তার একমাত্র উপার্জনের সম্বল ছিলো ৫ টি গরু।এর মাঝে একটি দেশী জাতের গাভী দুই মাসের বকন বাচ্চাসহ,একটি দেশী জাতের তিন মাসের গর্ভবতী গাভী,একটি বড় অষ্টেলিয়ান জাতের গাভী ও একটি অষ্টেলিয়ান জাতের বড় ষাড় গরু বিগত রাতের যেকোনো সময় চোর চক্র বাড়ির মূল টিনের গেটের তালা ভেঙ্গে গেট লাগোয়া একটি ১৮/২০ হাত দৈর্ঘের গরুর ফার্ম থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে।.

ভুক্তভোগী কামরুল হাসানের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৩৮) ও তার দুই মেয়ে এই প্রতিবেদনের নিকট জানান, ঘটনার রাত ১২ টার পরে তারা বাড়ির মূল গেট লাগিয়ে ঘুমাতে যান,বড় মেয়ে কাকলি আক্তার রাত্রি আনুমানিক সাড়ে তিনটায় প্রথমে সেহেরি খাবার উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে জেগে উঠেন,মূল ঘরেই ছিলেন ওরা দুই বোন।সামনের বারান্দার রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন কাকলির মা - বাবা।কাকলি জানান সে ঘরের বারান্দায় বেরোতেই দেখেন বাড়ির মূল গেট খোলা,তারাতাড়ি ভয়ে তার মা বাবাকে ডেকে তোলেন।থাকার ঘর ও বাড়ির মূল গেট লাগোয়া পূর্ব পাশেই গরু রাখার ঘরটি।হঠাৎ দেখতে পান তাদের গরুর ঘরে একটি গরুও নেই। তাৎক্ষণিক তারা কান্নাকাটি শুরু করে দেন,তাদের চিৎকারের শব্দ শুনে আশেপাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসেন।সবাই এদিক সেদিক পাগলের মত খুঁজতে থাকেন।সকালে বাড়ির মালিক খামারি কামরুল ছুটে যান সখীপুর থানায়,ডিউটি অফিসার ঘটনার বিবরণ জেনে অজ্ঞাতনামা একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন।বিকেলে সখীপুর থানার এসআই সিদ্দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।কামরুল হাসানের স্ত্রী প্রতিবেদকের সামনেই চিৎকার করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন,তার চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে।.

একপর্যায়ে তিনি দৈনিক ভোরের বাণী ও ডে নাইট নিউজ এবং  দৈনিক আজকের জনবাণী প্রতিনিধিকে বলেন,আমার সব শেষ হয়ে গেছে,এখন আমি কি করবো বাবা,আমি যে,রাস্তার ফফির হয়ে গেলাম,আমার সংসারের শেষ সম্বল ছিলো এই গরু কয়টা"।স্থানীয় প্রতিবেশী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদে সাথে কথা বলে জানা যায়,সবকয়টি গরু মিলে তাদের প্রায় ৮/১০ লাখ টাকার গরু হারিয়ে গেছে।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নিঃস্ব পরিবার স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন।. .

ডে-নাইট-নিউজ /

অপরাধ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ