মারা গেলেন সাফজয়ী নারী ফুটবলার রাজিয়া খাতুন। প্রসবকালীন জটিলতায় আজ ভোরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সতীর্থ ফুটবলার ও ফুটবলসংশ্লিষ্টরা।.
ফুটবলসংশ্লিষ্ট মাধ্যম থেকে জানা গেছে, গতকাল ১৩ মার্চ রাতে গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায় সন্তান প্রসব করেন রাজিয়া। সন্তান প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় তার। সেই রক্তক্ষরণেই প্রাণ হারিয়েছেন। রাজিয়ার মৃত্যুতে দেশের ফুটবলে নেমে এসেছে গভীর শোক। .
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন গোলাম রব্বানী ছোটন। রাজিয়ার মৃত্যুর খবরে স্মৃতিচারণ করে ছোটন বলেন, ‘২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে এএফসি অ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে রাজিয়া খেলেছিল। পরের বছর সাফ অ-১৮ ভুটানের চ্যাম্পিয়ন দলেও ছিল। সিনিয়র দলে ক্যাম্পও করেছে কিছু দিন। পারফরম্যান্স অবনতির জন্য ২০১৯ সালের দিকে ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ে।’.
রাজিয়ার আকস্মিক মৃত্যুতে জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ সানজিদা আক্তার বলেন, ‘আমাদের ক্যারিয়ার একই সময়েই শুরু। ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ার পর ও লিগ খেলেছে এবং পরবর্তীতে বিয়ে করেছে। বাচ্চা হওয়ার মুহূর্তে ও মারা গেছে শুনে খুবই খারাপ লাগছে। আমরা একজন বন্ধু হারালাম।’
সানজিদা ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে বর্তমানে ভারতে আছেন।.
বাংলাদেশের নারী ফুটবলের প্রেক্ষাপটে বাফুফের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ার পর আবার ফিরে আসা কঠিন। ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ার পরেও ফুটবলের সঙ্গে ছিল। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কাচারিপাড়া দুই দলে গত দুই লিগ খেলেছিলেন রাজিয়া। .
২০০১ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া রাজিয়া বাংলাদেশের নারী ফুটবলের উত্থানের শুরুর দিকের একজন। এএফসি অ-১৪ রিজিওনাল (সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ এশিয়া) চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১৩ ও ১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন দলে ছিলেন তিনি। এরপর অ-১৬ ও অ-১৯ দলেও খেলেছেন। . .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: