আয়-রোজগার করে পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর-সংসার করা কথা ৩৯ বছর বয়সী পবন চন্দ্র সরকারের। কিন্তু রেটিনা এবং আইরিস কলোবোমা কর্ণিয়া (চক্ষু সমস্যা) নিভিয়ে দিয়েছে স্বপ্নের আলো। পবন চন্দ্রের জীবন দিনদিন আরো আঁধারে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে এই রোগটি।.
পবন চন্দ্র সরকার কোনো অর্থ সহযোগিতা নয়, তিনি চান তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে। তার চিকিৎসাভার কিংবা চক্ষুদানের অনুরোধ জানান তিনি। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের চককবির দাস পাড়া গ্রামের সুজয় চন্দ্র সরকারের ছেলে পবন চন্দ্র সরকার। বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়েই তার পরিবার। তার বড় ছেলে নিরব সরকার বর্তমানে নবম শ্রেণিতে এবং ছোট ছেলে রকি সরকার তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যায়ণরত। .
জানা যায়, ১৯৮৩ সালে জন্মের সময় টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হন পবন চন্দ্র সরকার। ছোট থেকেই চোখে ঝাঁপসা দেখতেন তিনি। পরিবারে অভাব-অনটনের কারণে ২০০৩ সালে এসএসসি পাশ করে পবনায় রড-সিমেন্টের একটি কারখানায় যোগদান করে। পরে চোখের সমস্যা দিনদিন বাড়তে থাকলে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ঢাকা বিজ্ঞানী হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করণে রেটিনা এবং আইরিস কলোবোমা কর্ণিয়া (চক্ষু সমস্যা) ধরা পড়ে। পরে ডা. দীপক কুমার নাগের পরামর্শে চার লাখ টাকায় চোখের অপারেশন করান। অপারেশনের পর থেকেই পবন চন্দ্র আরো হারিয়ে ফেলেন দৃষ্টি শক্তি। পরে সেই হাসপাতালে যোগাযোগ করলে ব্যায় বহুল উন্নত চিকিৎসা কথা বলা হলে, অর্থাভাবে আর পরবর্তীতে চিকিৎসা করাতে পারেন’নি তিনি। .
পবন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চোখ অপারেশনে অনেক টাকা প্রয়োজন। চিকিৎসার খরচ মেটাতে ইতোমধ্যে আমার পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। এখন আমি কিংবা আমার পরিবারের পক্ষে অপারেশনের খরচ জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমি আর্থিক সহযোগিতা নয়, আমি চাই সমাজের হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তিরা যেনো আামার চিকিৎসাভার কিংবা চক্ষুদানের মাধ্যমে আমার দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিক। আমি আমার দৃষ্টির আলো ফিরে পেয়ে কর্ম করে জীবনজীবিকা নির্বাহ করতে চাই।’. .
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
আপনার মতামত লিখুন: