
মাহমুদুল আলম দিপু সময়ের একজন পাঠকপ্রিয় লেখক। স্বপ্নবাজ তরুণ হিসেবে তিনি তার কাজে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন নিয়মিত। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। মাহমুদুল আলম দিপুর বাবার নাম শফি উদ্দিন। তিনি ছিলেন একজন মাওলানা। তার মায়ের নাম রাজিয়া বেগম। পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি উচ্চতার মাঝারি গড়নের দিপু বসবাস করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে ডাটা সায়েন্স নিয়ে কাজ করছেন তিনি। কাজের পাশাপাশি লেখালেখিকে নিয়েছেন নেশা হিসেবে। এবারের বইমেলায় তার লেখা ‘২৯৩ মিলিয়ন ডলার ও আমি’ বইটি বেশ সাড়া ফেলেছে।.
.
ছোটোবেলা থেকেই বইয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল মাহমুদুল আলম দীপুর। শৈশবে একবার বেড়াতে গিয়েছিলেন মামার বাসায়। সেখানেই মামার বুক শেলফ ঘেঁটে পেয়ে যান নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ বইটি। বইটির লেখা ছোট্ট দিপুর মনে ভীষণ নাড়া দিয়েছিল। সেই থেকে হুমায়ূন আহমেদের লেখার ভক্ত হয়ে ওঠেন তিনি। শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বয়স তখন ১০ কিংবা ১১, মামা বাড়ি বেড়াতে যাই আমি। ঘরের ভেতর ঢুকে দেখি মামা নেই। নজর পড়ল টেবিলের উপর। সেখানে অগোছালো বেশ কয়টি বই। তার মাঝ থেকে একটি বই আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করল। বইটার নাম জোছনা ও জননীর গল্প”।.
.
.
এভাবেই শুরুতে একজন তুখোড় পাঠক হয়ে ওঠেন মাহমুদুল আলম দিপু। পড়েছেন প্রচুর বই। এক সময় তাকে পেয়ে বসে লেখালিখির নেশা। প্রবাস জীবনে ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে গুঁটি গুঁটি হাতে একদিন লিখে ফেললেন একটা বই। তার প্রবাস জীবন, বন্ধুদের জীবনের গল্প নিয়ে লিখে ফেললেন ‘২৯৩ মিলিয়ন ডলার ও আমি’ নামে একটি বই। বইটি তিনি লিখে শেষ করেন ২০১১ সালে। এরপর নিজেই বইটির ইংরেজি অনুবাদ করেন। ২০১৩ সালে বইটি আমেরিকাতে প্রকাশিত হয়। এ বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলাতেও বইটি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের ও বাংলা ভাষী পাঠকদের জন্য। বইটি প্রকাশ করেছে মানচিত্র প্রকাশন। লেখক মাহমুদুল আলম দিপু মনে করেন পাঠক তার বইটিকে সহজ ও সাবলীলভাবেই গ্রহণ করবে।.
‘২৯৩ মিলিয়ন ডলার ও আমি’ বইটি মূলত এক প্রবাসীর জীবন উপাখ্যান। এই গল্পে লেখক তার নিজের জীবন, তার মৃত বন্ধু খালেকের জীবনের গল্প ফুটিয়ে তুলেছেন। শাশ্বত মৃত্যুকে যে এড়ানো যায় না তা তিনি দেখেছেন বেশ কাছ থেকেই। সেখান থেকেই তার মনের মধ্যে জমে থাকা শব্দ বাক্য জোড়া দিয়ে তিন লিখেছেন এই উপন্যাসটি।.
.
.
লেখক মাহমুদুল আলম দিপু প্রবাসে জীবন অতিবাহিত করলেও বাঙালিয়ানা ভুলে যাননি। এখনো সুযোগ পেলে বাঙালি খাবার খেতে পছন্দ করেন। হাইওয়েতে গাড়ি ড্রাইভ করা যার শখ। অবসরে বই পড়েন, লেখালিখি করেন। সুযোগ পেলে নতুন কিছু নিয়ে শিখতে তার আগ্রহের কমতি থাকে না। তিনি বর্তমানে কাজ করছেন দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে। একদিন তিনি ক্ষুধামুক্ত সুন্দর পৃথিবী তৈরির স্বপ্ন দেখেন!.
ব্যক্তিজীবনে লেখক মাহমুদুল আলম দিপু এক কন্যা সন্তানের জনক। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে তিনি বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রে।.
.
ডে-নাইট-নিউজ / স্টাফ রিপোর্টার
আপনার মতামত লিখুন: