দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আলমগীর হোসেন (৪৫) নামের এক এক গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যুতে পথে বসেছে তার সুখের পরিবারটি। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে পরিবারের তার বৃদ্ধা মাতা এবং স্ত্রী ও তিন বছরের একমাত্র কন্যা সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে পরিবারের জীবিত মানুষগুলোর।.
নিহত আলমগীর হোসেন ফুলবাড়ী উপজেলার ৩নং কাজিহাল ইউনিয়নের চোকিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আজগর আলী ছেলে এবং ঢাকার সাভারের একটি গার্মেন্টসের শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। .
জানা যায়, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য গত ৮ জুলাই কর্মস্থল সাভার থেকে বাড়ী ফেরার পথে ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুরের জানিপুর নামক স্থানে তার বহনকৃত রিকশাভ্যানের সঙ্গে বিপরীতমুখী একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আলমগীর হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধিন অবস্থায় গত ১১ জুলাই তার মৃত্যু ঘটে। .
এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারি ব্যক্তির মৃত্যুতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিহত আলমগীর হোসেনে বৃদ্ধ মাতা মনোয়ারা বেগম, আলমগীরের স্ত্রী শাবিনা বেগম ও একমাত্র তিন বছরের শিশুকন্যা জান্নাতুন ফেরদৌস। .
নিহত আলমগীর হোসেনের বোন জামাতা আনছার আলী বলেন, যেদিন আলমগীর হোসেনের মৃত্যুর হয়েছে, সেদিনই আলমগীর হোসেনের পরিবারেরও মৃত্যু হয়ে গেছে। আলমগীরের একবার মৃত্যু হলেও তার পরিবারের মৃত্যু হচ্ছে ধুকে ধুকে। .
আলমগীর হোসেনের স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বৃদ্ধা শ্বাশুড়িসহ শিশু সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সংসারের খরচ বহন করার মতো তাদের কেউ নেই। ছেলেকে হারিয়ে বৃদ্ধা মা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন সেই সময় থেকে। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের। এখন পর্যন্ত কেউই সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি এই অসহায় পরিবারের সহায়তায়। কিভাবে চলছে এই সংসার সেই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে স্বামীহারা সাবিনা বেগমের।. .
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: